নয়াদিল্লি: মশার আঁতুড়ঘর রাষ্ট্রপতি ভবন কমপ্লেক্স! এমনই অভিযোগ নয়াদিল্লি পুরসভা নিগমের (এনডিএমসি)। তাদের নজরদারি টিম নাকি ভিভিআইপি ল্যুটিয়েন জোনের একাধিক ভবনের আনাচেকানাচে বদ্ধ জলাশয় দেখতে পেয়েছে, যা থেকে মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে।
সেইসব ভবনগুলিতে এখনও পর্যন্ত গত বেশ কয়েক বছর ধরে ১১০০-বেশি নোটিস, ১৩ টি চালান পাঠিয়েছে পুরসভা।


পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের জনৈক পদস্থ অফিসার বলেন, প্রতি বছরই আমরা নজরদারি দল তৈরি করি। ওদের নজরদারির পর প্রথমে এনডিএমসি নোটিস পাঠায়। দ্বিতীয়বার নজরদারির আগে পরিস্থিতি না শুধরোলে চালান পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপতি ভবন এস্টেটের আবাসিক কোয়ার্টারগুলি ও বিভিন্ন কমপ্লেক্সে মশার বংশবৃদ্ধির ব্যাপারে একাধিক নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

গত বছর ৮০টির বেশি নোটিস পাঠানো হয়। ২০১৫-য় পাঠানো হয়েছিল ১২৫টি নোটিস।

রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়াও একই কারণে নোটিস দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও দিল্লি হাইকোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকেও।

নোটিস গিয়েছে হরিয়ানা ভবন, পরিবহণ ভবন, মৌসম ভবন, সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল, সফদরজং হাসপাতাল, এইমস, দিল্লি পুলিশের সদর দপ্তর, রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালেও। মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে দিল্লি পুরসভার সর্বশেষ রিপোর্টে প্রকাশ, ১০ জুন পর্যন্ত রাজধানীতে অন্তত ৭০টি ডেঙ্গু, ১৩৫টি চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।