নয়াদিল্লি: তাদের হিন্দি চ্যানেলকে একদিনের জন্য নিষিদ্ধ করার কেন্দ্রীয় সিন্ধান্তকে ‘জঘন্য’ বলে উল্লেখ করল এনডিটিভি। তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্দেশকে তারা খতিয়ে দেখছে। নিষেধাজ্ঞার সমালোচনায় মুখর এডিটর্স গিল্ড এবং ব্রডকাস্ট এডিটর্স অ্যাসোসিয়েশনও।


পঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার খবর সম্প্রচার করার সময় সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগ ওঠে এনডিটিভি-র হিন্দি চ্যানেল ‘এনডিটিভি ইন্ডিয়া’-র বিরুদ্ধে। যে কারণে আগামী ৯ তারিখ ওই চ্যানেলের সম্প্রচারে দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।

এদিন নিজেদের ওয়েবসাইটে এনডিটিভি তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের নির্দেশ এসেছে। এটা জঘন্য যে কেবলমাত্র এনডিটিভি-কে আলাদা করে নিষিদ্ধ করা হল। অথচ, প্রায় সব সংবাদমাধ্যমই একই জিনিস সম্প্রচার করেছে। সংস্থার দাবি, তাদের সম্প্রচারিত কভারেজ সবচেয়ে ভারসাম্য বজায় রেখেছিল।

এখানেই থেমে থাকেনি এনডিটিভি। নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টিকে তারা জরুরি অবস্থার জারি হওয়ার সঙ্গে তুলনা টেনে এনেছে। সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, জরুরি অবস্থার সময় যেভাবে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল,  এনডিটিভি-র ওপর ঠিক একইভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল, যা অভাবনীয়।

নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে একসুরে সোচ্চার হয়েছে এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া এবং ব্রডকাস্ট এডিটর্স অ্যাসোসিয়েশন। নিষেধাজ্ঞাকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। একইসঙ্গে তারা ওই নির্দেশের প্রত্যাহারের দাবিও তুলেছে। তারা আরও জানিয়েছে, কোনওপ্রকার বিচারবিভাগীয় হস্তক্ষেপ ছাড়াই সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারি করাটা স্বাধীনতা ও বিচারের পরিপন্থী।

একইসুরে চ্যানেলের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রডকাস্ট এডিটর্স অ্যাসোসিয়েশনও। তারাও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর কেন্দ্র নতুন নিয়মাবলি লাগু করা ইস্তক এই প্রথম কোনও চ্যানেল নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ল।