চিন যে ভারতের সদস্যপদ আটকে দেবে, সেটা আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল বলেও টোকিও মন্তব্য করেছে। তবে জাপান জানিয়েছে, তারা এখনও চায়, ভারত পরমাণু অস্ত্রপ্রসাররোধ চুক্তি সই করুক। তবে এ জন্য এনএসজি-তে ভারতের সদস্যপদ আটকে চাক, সেটা তারা চায় না। স্বাভাবিকভাবেই, এনএসজি-তে ভারতের প্রবেশ সম্পর্কে চিনা অবস্থানের কয়েক যোজন দূরে জাপানের অবস্থান। চিন নিজে তো এনপিটি ও এনএসজি-র নিয়মকানুন অগ্রাহ্য করে পাকিস্তানকে পরমাণু প্রযুক্তি সরবরাহ করে চলেছে, অথচ ভারতের এনএসজি প্রবেশ আটকে দিতে সেই এনপিটি-র ছুতো খাড়া করেছে তারা। বেজিংয়ের মতে, এনপিটি সই না করে ভারত যদি এনএসজি-তে প্রবেশাধিকার পায়, তাহলে আন্তর্জাতিক অস্ত্রপ্রসাররোধের চেষ্টা দুর্বল হবে। অথচ এনপিটি-র নিয়ম তুড়ি মেরে উড়িয়ে পাকিস্তানের মত সব অর্থে বিপজ্জনক দেশকে পরমাণু অস্ত্র প্রযুক্তি সরবরাহ করে চলেছে তারা।
জাপান অবশ্য স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ভারত এনপিটি সই না করলেও অস্ত্রপ্রসাররোধে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে, তাই তাদের এনএসজি সদস্যপদের দাবি যুক্তিযুক্ত। পাকিস্তানের নাম না করে তাদের মন্তব্য, কিছু দেশকে এ ব্যাপারে আরও চেষ্টা করতে হবে।