নয়াদিল্লি: লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির বদলে একযোগে করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনের মতো পদক্ষেপ করলেই ভারতে সংক্রমণ অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব। এমনটাই মনে করছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর বিশেষজ্ঞরা।


আইসিএমআর-এর স্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগের সদস্য সন্দীপ মণ্ডলের নেতৃত্বাধীন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ২১ দিনের লকডাউনের ফলে করোনা অতিমারীর প্রকোপ প্রায় ৪৩ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুর হারও কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ। করোনা পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইন নিখুঁতভাবে কার্যকর করা সম্ভব হলেই সংক্রমণের প্রকোপ প্রায় ৭১ শতাংশ পর্যন্ত কমানো যাবে। এই ভাইরাসে মৃত্যুর হারও কমে যাবে প্রায় ৪০ শতাংশ।

আইসিএমআর-এর স্বাস্থ্য গবেষণা বিভাগের সদস্য সন্দীপ মণ্ডল একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধির হার আটকানো গিয়েছে।’ লকডাউন করোনা সমস্যা সমাধানে শেষ পদক্ষেপ নয় বলেই জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘লকডাউনের ফলে মহামারীর প্রকোপ কমছে। মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু, সমস্যা নির্মূল করতে অতিরিক্ত পদক্ষেপ প্রয়োজন।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলো খুঁজে বার করতে হবে। এরপর করোনার লক্ষণযুক্ত ও লক্ষণহীন গোষ্ঠীগুলিকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন। তবে, নিজামুদ্দিনের মত ঘটনা ঘটলে কারওরই কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।’ ধাপে ধাপে দেশ থেকে লকডাউন তোলা উচিত বলে মনে করেন তিনি।