নয়াদিল্লি: এক পদ, এক পেনশনের টাকা মিলেছিল। তারপরেও কেন আত্মহত্যা করতে গেলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান রামকিষাণ গ্রেওয়াল? তিনি নিজের ইচ্ছেয় আত্মহত্যা করেন নাকি কেউ উসকানি দিয়েছিল? বিষয়টি স্পষ্ট করতে এ ব্যাপারে তদন্তের ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র।


এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্রেওয়াল প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরকে চিঠি লেখেন ৩১ অক্টোবর। আত্মহত্যা করেন পরদিন, পয়লা নভেম্বর। এর মধ্যে কী হল যার জন্য তিনি এমন চরম পদক্ষেপ নিলেন? কে তাঁর হাতে বিষ তুলে দিল বা কেউ তাঁর মানসিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে এই ঘটনায় অনুঘটকের কাজ করেছে কিনা-এই সব কিছুরই তদন্ত হওয়া উচিত।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এক পদ, এক পেনশনের টাকা গ্রেওয়ালও পেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাঙ্কের গন্ডগোলে কয়েক হাজার টাকা কম পান তিনি। সরকারি সূত্রে খবর, যদি গ্রেওয়াল এক্স সার্ভিসমেন ওয়েলফেয়ার সেলে নিজের সমস্যার কথা জানাতেন, তবে তা দ্রুত নিষ্পত্তি হত। তাদের দাবি, এক পদ, এক পেনশনের টাকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, অবসর নেওয়া সেনাকর্মীদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ২০,৬০,০০০ অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীর মধ্যে মাত্র ১লাখ এখনও পাননি ওই টাকা। মৃত প্রাক্তন সেনাকর্মীর টাকা আটকে রাখা হয়নি কিন্তু তা ব্যাঙ্কে জমা পড়তে দেরি হওয়ায় ব্যাঙ্কের হিসেবে কিছু গন্ডগোল হয়। তাই কয়েকহাজার টাকা তিনি কম পেয়েছিলেন।

কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি যেভাবে হাসপাতালে গিয়ে হইচই করছে, তা প্ররোচনামূলক বলে মনে করছে কেন্দ্র। তাদের দাবি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক পদ, এক পেনশন সম্পর্কিত জটিলতা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। ওই টাকা দ্রুত অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছনোর বিষয়টি তিনি সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে নিশ্চিত করতে বলেছেন। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে সরাসরি ইমেল বা অন্যভাবে যে সব অভিযোগ এসে পৌঁছেছে, তার ৫০০-রও বেশি অভিযোগ নিজে মিটিয়েছেন তিনি। তারপরেও এ ব্যাপারে যা যা জটিলতা রয়েছে, তা মেটাচ্ছে জেলাভিত্তিক এক্স সার্ভিসমেন ওয়েলফেয়ার সেল। বেশিরভাগ অভিযোগই আসছে ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ও এক পদ, এক পেনশনের টাকার হিসেব নিয়ে।

কেন্দ্রের বক্তব্য, বুঝতে হবে, বেশিরভাগ অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীই থাকেন প্রত্যন্ত এলাকায় যেখানে ব্যাঙ্ক সবে পৌঁছেছে। তাই এত বড় কাজের দায়িত্বের সঙ্গে এখনও সব ব্যাঙ্ককর্মী সড়গড় হয়ে ওঠেননি। এধরনের ব্যাঙ্কের শাখায় তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিশেষ অফিসার পাঠাচ্ছে যাতে এক পদ, এক পেনশন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা যায়।