ভোপাল: দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীর আক্রমণ করলে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু আরএসএসের সাহায্য চেয়েছিলেন, তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন সঙ্ঘের স্বেচ্ছাসেবকরা। ভারতীয় সেনাবাহিনী সম্পর্কে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই এই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী। তিনি অবশ্য ভাগবতের মন্তব্যে নিয়ে সরাসরি কিছু বলেননি।
তবে উমার বক্তব্য, স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর কাশ্মীরের শাসক মহারাজা হরি সিংহ জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতভুক্তির চুক্তিতে সই করছিলেন না, শেখ আবদুল্লা সই করার জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন। নেহরু দ্বিধার মধ্যে ছিলেন। আচমকা পাকিস্তান হামলা করে দেয়, ওদের সেনারা উধমপুর পর্যন্ত চলে আসে। এই হামলা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল, তার ওপর সেনার হাতে উচ্চমানের প্রযুক্তি না থাকায় সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছনো সম্ভব ছিল না তাদের পক্ষে। তখনই নেহরুজি সঙ্ঘের তত্কালীন প্রধান গুরু গোলওয়ালকরকে চিঠি লিখে সাহায্য চান। আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকরা সাহায্য করতে ছুটে যান জম্মু ও কাশ্মীরে।
পাশাপাশি জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অনুষ্ঠানে ভারত-বিরোধী স্লোগান উঠেছিল বলে অভিযোগ, তার উল্লেখ করে উমা বলেন, সেনাকে পাথর ছুঁড়ে মারা হচ্ছে, গাল দেওয়া চলছে। তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হচ্ছে। জেএনইউয়ে অভিযোগ উঠছে, সেনা মহিলাদের ধর্ষণ করে। এটা মত প্রকাশের স্বাধীনতা। কিন্তু আরএসএস ক্যাডাররা দেশের জন্য জীবন দিতে পারে, একথা বলায় বলা হল, এটা সেনার প্রতি অসম্মান!
প্রসঙ্গত, ভাগবত বলেছিলেন, দেশে যুদ্ধে লড়ার মতো পরিস্থিতি হলে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর যেখানে তৈরি হতে ৬-৭ মাস সময় লাগতে পারে, সেখানে আরএসএসের লাগবে মাত্র তিনদিন। এহেন মন্তব্যে তিনি সেনাবাহিনীকে 'অপমান করেছেন', এই অভিযোগে সরব বিরোধীরা। আরএসএস সাফাই দিয়েছে, ভাগবত মোটেই সঙ্ঘের ক্যাডারদের সঙ্গে সেনার তুলনা করেননি, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।