নয়াদিল্লি:আর কয়েক মাস পরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দলগুলির মধ্যে  বাকযুদ্ধে চরমে উঠেছে। ক্ষমতাসীন তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির মধ্যে রাজ্যের রাজনৈতিক জমি দখলের লড়াই জমে উঠেছে। পাশাপাশি রয়েছে বাম ও কংগ্রেস শিবিরও। এরইমধ্যে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। এই কমিটির সভাপতি হবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ বছর নেতাজীর জন্মজয়ন্তী শ্রদ্ধাঞ্জলি বর্ষ হিসেবে পালন করা হবে এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজীর সুমহান অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা হিসেবে উদযাপন করা হবে।
নেতাজী সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন যে, ভারত সুভাষ চন্দ্র বসুর বীরত্ব ও উপনিবেশবাদের বিরোধিতায় অসামান্য অবদানের জন্য চিরদিন কৃতজ্ঞ থাকবে। তিনি এমন এক বীর ছিলেন, যিনি প্রত্যেক ভারতীয়কে সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপনের জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন।



কেন্দ্রের উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন বিশেষজ্ঞ, ইতিহাসবিদ, লেখক, নেতাজীর পরিবারের সদস্য ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যুক্তরা। এই কমিটি দিল্লি, কলকাতা এবং দেশ ও দেশের বাইরে আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্থানে বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচী নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সম্প্রতি কেন্দ্র নেতাদীর অমূল্য ঐতিহ্যের সংরক্ষণের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। লাল কেল্লা ও নয়াদিল্লিতে নেতাজীকে নিয়ে একটি সংগ্রহশালা গঠন করা হয়েছে। এর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি স্থায়ী প্রদর্শনী ও নেতাজীর ওপর লাইট অ্য়ান্ড সাউন্ড শো-র পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে।
২০১৫-তে নেতাজী সংক্রান্ত ফাইল প্রকাশ্যে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। ২০১৫-র ৪ ডিসেম্বর প্রথম পর্বে ৩৩ ফাইল প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের জন্য ২০১৬-র ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নেতাজী সম্পর্কিত ১০০ ফাইলের ডিজিটাল প্রতিলিপি প্রকাশ করেছিলেন।

২০১৮-তে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সফরে এসে নেতাজী কর্তৃক তেরঙা উত্তোলনের ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আন্দামান ও নিকোবরে তিনটি দ্বীপের নাম বদল করে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু দ্বীপ রাখা হয়।