নয়াদিল্লি: এতদিন চেক বাউন্স করলে চেক যিনি ইস্যু করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যেত না, অনায়াসে টাকা না মিটিয়ে পালাতে পারতেন তিনি। কিন্তু এবার সেই রাস্তা বন্ধ করল কেন্দ্র। নতুন নিয়ম অনুযায়ী যাঁর চেক বাউন্স করেছে, তাঁকে মোট অর্থের ২০ শতাংশ অভিযোগকারীকে দিতে হবে।


গতকাল লোকসভায় পাশ হয়েছে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০১৭। এই বিল অনুযায়ী এবার যদি কেউ চেক বাউন্স করা নিয়ে ট্রায়াল কোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন তো অভিযুক্তকে প্রথমেই চেকে ইস্যু করা অর্থের ২০ শতাংশ আদালতে জমা করতে হবে আর সে টাকা দেওয়া হবে অভিযোগকারীকে। চেক ইস্যু করার ৬০ দিনের মধ্যে জমা করতে হবে এই টাকা।

যদি অর্থের পরিমাণ বেশি হয়, তবে তা দুই কিস্তিতে জমা দেওয়ার সুযোগ মিলবে। সঙ্গে আগের ৬০ দিনের সঙ্গে দেওয়া হবে আরও ৩০ দিনের ছাড়। যদি অভিযুক্ত ট্রায়াল কোর্টে দোষী প্রমাণিত হন ও তিনি আপিল করেন, তবে  মোট প্রদেয় অর্থের আরও ২০ শতাংশ আদালতে জমা রাখতে হবে তাঁকে। পাশাপাশি ২০ শতাংশ অর্থ তাঁর জরিমানা হতে পারে। আদালত চাইলে এই জরিমানার অর্থ বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করতে পারে। সরকারের বক্তব্য, এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে চেক বাউন্সের প্রবণতা কমবে।

এই মুহূর্তে গোটা দেশের নিম্ন আদালতগুলিতে চেক বাউন্স সংক্রান্ত ১৬ লাখ মামলা ঝুলছে। সরকারের বক্তব্য, চেক ফেরত যাওয়ার ফলে সঙ্কটে পড়া মানুষদের কিছুটা হলেও স্বস্তির শ্বাস ফেলবেন।