নয়াদিল্লি: প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করার জন্য দক্ষিণ কাশ্মীর হিমালয়ের অমরনাথ গুহাকে ‘সাইলেন্স জোন’ হিসেবে ঘোষণা করল জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)। ওই গুহার মধ্যে ধর্মীয় কার্যকলাপও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এনজিটি-র চেয়ারপার্সন বিচারপতি স্বতন্ত্র কুমার বলেছেন, তীর্থযাত্রীরা যাতে শিবলিঙ্গ দর্শন থেকে বঞ্চিত না হন এবং একইসঙ্গে বাস্তুতন্ত্র বজায় থাকে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য অমরনাথ শ্রাইন বোর্ডকে উপযুক্ত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করতে হবে।

এনজিটি জানিয়েছে, অমরনাথে তুষারধস রোখা এবং এই গুহার আদি রূপ বজায় রাখার জন্যই এই জায়গাটিকে ‘সাইলেন্স জোন’ হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে। গুহার মধ্যে কোনওরকম শব্দ করা যাবে না। ওই পবিত্র গুহায় ওঠার সিঁড়ির মুখে সব তীর্থযাত্রীকে ভাল করে তল্লাশি করতে হবে। তাঁরা যাতে মোবাইল ফোন সহ কোনও কিছু নিয়ে গুহায় যেতে না পারেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দর্শনার্থীরা যাতে বরফের শিবলিঙ্গ ভালভাবে দেখতে পান, সেজন্য ওই জায়গা থেকে লোহার বেষ্টনী সরিয়ে ফেলতে হবে। অমরনাথে তীর্যযাত্রীদের সুবিধার্থে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, পরিবেশ ও অরণ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে সেটা জানানোর নির্দেশও দিয়েছে এনজিটি। পরবর্তী শুনানি হবে ১৮ জানুয়ারি।

পরিবেশবিদ গৌরী মৌলেখি এনজিটি-র এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘অমরনাথ গুহা যে অঞ্চলে, সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত সংবেদনশীল। এনজিটি-র এই নির্দেশের ফলে  তীর্থযাত্রীদের কাছে অমরনাথ যাত্রা নিরাপদ ও সুবিধাজনক হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য এই তীর্থক্ষেত্র সুরক্ষিত থাকবে।’