নয়াদিল্লি: বন্ধ হওয়ার বেশ কয়েক মাস বাদে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে বেদান্ত স্টারলাইটের কপার স্মেলটিং কারখানা ফের খোলার নির্দেশ দিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)। এলাকায় দূষণ ছড়ানোর জন্য ওই কারখানা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। পরিবেশ দূষণের দায়ে কারখানা বন্ধের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের তুমুল বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশের গুলিচালনায় ১৩ জনের মৃত্যুতে দেশজুড়ে আলোড়ন হয়েছিল। বহু মানুষ জখম হয়েছিলেন।
আজ এনজিটি তামিলনাড়ু সরকারের বেদান্তর প্ল্যান্ট পাকাপাকি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে, তিন সপ্তাহের মধ্যে তা পুনরায় চালুর জন্য নতুন করে সম্মতি দিয়ে নির্দেশ জারি করতে বলে তামিলনাড়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডকে, পাশাপাশি এলাকার জনগণের উন্নয়নে তিন বছরে ১০০ কোটি টাকা খরচ করতেও বলে বেদান্তকে।
স্টারলাইট কপার প্ল্যান্টের ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পেশ করা আবেদনে সায় দেয় ট্রাইব্যুনাল। রাজ্য সরকারের নির্দেশ ‘অন্যায্য’, ‘বহাল থাকার মতো নয়’ বলে জানায় তারা।



যদিও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এডাপাড্ডি পালানিস্বামী সুপ্রিম কোর্টে এনজিটির নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করা হবে বলে জানিয়েছেন। রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রীও তাঁর সুরে বলেছেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আমরা এই কারখানা ফের খুলুক চাই না।
এলাকার ভূগর্ভস্থ জলে প্রচুর পরিমাণে ধাতব উপাদান থাকার প্রমাণ মেলায় জল দূষণের অভিযোগে স্টারলাইটের কপার কারখানার বিরুদ্ধে বড়সড় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হয়েছে।
এর আগে এনজিটি-নিযুক্ত কমিটি তাদের জানায়, কারখানা বন্ধ করতে বলার আগে বেদান্তকে কোনও সুযোগ বা নোটিস দেওয়া হয়নি। বেদান্ত ট্রাইব্যুনালকে তুতিকোরিনে স্কুল, হাসপাতাল তৈরি, পানীয় জল সরবরাহ সহ এলাকার বাসিন্দাদের উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা খরচ করবে। কর্পোরেট সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) কর্মসূচিতে সামাজিক কাজকর্মের পিছনে বছরে তারা যে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে, তার অতিরিক্ত খরচ হবে ওই অর্থ।
এদিনের নির্দেশে এনজিটি আরও বলেছে, বেদান্ত ওই কারখানায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উত্পাদন শুরু করলে তাদের প্রতিনিধির সামনে সেখানকার ভূগর্ভস্থ জলের গুণমান পরীক্ষা করতে তাদের নির্দেশ দিতে হবে।
গত এপ্রিলে তামিলনাড়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড বেদান্ত স্টারলাইটের কাজকর্ম চালানোর সম্মতি সংক্রান্ত ছাড়পত্রের পুনর্নবীকরণের আবেদন খারিজ করে জানায়, কোম্পানি বিধিবদ্ধ শর্তাবলী পালন করেনি।