চলতি মাসের গোড়ায় ঈদের পরই ফান্টুসকে আগাম আটক করে নিজেদের হেফাজতে নয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। তিনি গিলানির নেতৃত্বাধীন হুরিয়তের বড় চাঁই বলে মনে করা হচ্ছে।
গিলানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলে পরিচিত তেহরিক-ই-হুরিয়ত মুখপাত্র আয়াজ আকবর ও পীর সৈফুল্লাহকেও উপত্যকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত প্রক্রিয়ায় জড়িত লোকজন। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে মিরওয়াইজ ওমর ফারুকের নেতৃত্বাধীন মধ্যপন্থী হুরিয়তের মুখপাত্র শাহিদুল ইসলামকেও।
গ্রেফতারির তালিকায় আছেন মেহরাজউদ্দিন কালওয়াল ও গিলানির হুরিয়ত শাখার নঈম খান ও ফারুক আহমেদ দার ওরফে বিট্টা কারাটেও।
আজ যাঁদের গ্রেফতার করা হল, তাঁদের সবার বাড়িতেই গত মাসে হানা দিয়েছিল এনআইএ।
প্রসঙ্গত, এনআইএ-র এফআইআরে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ লস্কর-ই-তৈবার প্রকাশ্য সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সঈদের। অভিযুক্ত করা হয়েছে গিলানি, মিরওয়াইজের হুরিরত, হিজবুল মুজাহিদিন ও দুখতারান-ই-মিল্লাতকে।
পাকিস্তান থেকে পাঠানো অর্থ ব্যবহার করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কাশ্মীর উপত্যকায় অশান্তি, হিংসা ছড়াচ্ছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগের তদন্তে নেমে এনআইএ এই গ্রেফতারি করল। এ পর্যন্ত তাদের অভিযানে অ্যাকাউন্টস বুক, নগদ ২ কোটি টাকা, লস্কর ও হিজবুল সমেত বেশ কয়েকটি জঙ্গি গোষ্ঠীর ছাপানো লেটারহেড উদ্ধার হয়েছে।
কাশ্মীরে যারা নিরাপত্তাবাহিনীকে নিশানা করে পাথর ছুঁড়ছে, স্কুল পোড়াচ্ছে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে, তাদের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পয়সা ঢালার পিছনে কোন লোকগুলি আছে, তাদের চিহ্নিত করাও এনআইএ-র অভিযানের উদ্দেশ্য।
এই প্রথম কাশ্মীরে নয়ের দশকে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার পর কোনও কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আর্থিক মদত দেওয়ার ব্যাপারে তল্লাসি অভিযান চালাচ্ছে। ২০০২ সালে অবশ্য আয়কর দপ্তর গিলানি সমেত কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার দপ্তর, বাড়িতে হানা দিয়ে টাকাপয়সা ও নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল।