শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি:  কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গিদের অর্থের যোগান কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে তদন্তে এনআইএ। সূত্রের খোঁজে জম্মু-কাশ্মীরের ১৪টি ও দিল্লি এবং হরিয়ানার ৮টি জায়গায় এনআইএ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি জঙ্গিদের অর্থ সরবরাহ করার অভিযোগে শনিবার এসএএস গিলানি সহ একাধিক হুরিয়ত নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরও করেছে এনআইএ।

এনআইএ-র এফআইআর-এ নাম রয়েছে যে সমস্ত হুরিয়ত নেতাদের তাদের মধ্যে রয়েছে নঈম খান, ফারুখ আহমেদ ধর এবং ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদ।





গোপনসূত্রে এনআইএ-র কাছে খবর ছিল পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরের ১৪টি এবং দিল্লির ৮ জায়গায় অর্থ আসছে উপত্যকায় অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যে। শুক্রবার মধ্যরাতে আচমকাই উপত্যকার বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ। দিল্লিতে আট জন হাওয়ালা ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। জানা গিয়েছে যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা তারা প্রত্যেকেই সঈদ আলি শাহ গিলানির ঘনিষ্ঠ। হরিয়ানার সোনপতের দুজায়গাতেও তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ।

শুধু তল্লাশি অভিযান নয়, সঙ্গে তিনজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে এনআইএ। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে টিভিতে এক স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েছিল হুরিয়ত নেতা নঈম খান স্বীকার করেছে যে সে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রধান হাফিজ সঈদের থেকে টাকা নিয়েছে। এছাড়া অন্য দুই নেতা যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে তেহরিক-ই-তৈবার গাজি জাভেদ বাবা এবং ফারুখ আহমেদ ডর অথবা বিট্টা কারাটে। এরা প্রত্যেকেই স্বীকার করেছে কাশ্মীরে অচলাবস্থা সৃষ্টির জন্য এদের টাকা দিয়েছিল লস্কর। তাদের মূল কাজই হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা, স্কুল ও সরকারি দফতর জ্বালিয়ে নষ্ট করা।