নয়াদিল্লি: নাশকতামূলক কার্যকলাপে যোগসাজশ, লস্কর-ই-তৈবা প্রধান হাফিজ সঈদের টাকা নেওয়ার অভিযোগে সৈয়দ আলি গিলানি সহ বেশ কয়েকজন কাশ্মীরী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। ইতিমধ্যে এনআইএ-র একটি টিম এজন্য শ্রীনগর পৌঁছেও গিয়েছে।

প্রধান তদন্ত সংস্থাটির মুখপাত্র বলেছেন, কাশ্মীরে সরকারি সম্পত্তির ওপর হামলা, ভাঙচুর, স্কুল ও সরকারি ভবন পোড়ানো, নিরাপত্তাবাহিনীকে টার্গেট করে পাথর ছোঁড়া ইত্যাদি যাবতীয় নাশকতামূলক কাজ চালাতে লস্কর বাহিনীর পান্ডা সঈদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা, যাঁদের মধ্যে কট্টরপন্থী হুরিয়ত কনফারেন্স নেতা গিলানি ছাড়াও আছেন নঈম খান, ফারুক আহমেদ দার ওরফে বিট্টা কারাটে ও গাজি জাভেদ বাবা। শেষের জন গিলানির তেহরিক-ই-হুরিয়তের নেতা।

প্রসঙ্গত, নঈমকেই দেখা গিয়েছিল টিভির পর্দায় দেখানো স্টিং অপারেশনে পাকিস্তানের মাটিতে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করছেন। কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির নেতাদের সঙ্গে এক টিভি রিপোর্টারের কথাবার্তা রেকর্ড করা সংক্রান্ত খবরও তাঁরা মাথায় রেখেছেন বলে জানান এনআইএ প্রতিনিধি।া
কাশ্মীরের চলতি অশান্তির মধ্যে গিলানি সহ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কোথা থেকে অর্থ পান, সে ব্যাপারে এনআইএ-র প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়াকে কেন্দ্রের বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। কোন পথে, কী ভাবে অর্থ ঢুকছে হুরিয়তের তহবিলে, তা তদন্ত করে দেখা হবে।

বেশ কয়েকটি রিপোর্টে প্রকাশ, সম্প্রতি ভারতে ধৃত দুই আইএসআই এজেন্টকে জেরা করে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছ থেকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। নানা নথিপত্র থেকেও স্পষ্ট, জম্মু ও কাশ্মীরে যুবকদের খেপিয়ে তুলে হিংসা ছড়ানোর পিছনে রয়েছে পাকিস্তান ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের যোগসাজশ।

একাধিক মহলের দাবি, সেনা পরিচালিত স্কুলগুলি পরবর্তী প্রজ্ন্মকে ধর্ম, সংস্কৃতি থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে, এই সওয়াল করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কাশ্মীরীদের ঘরের ছেলেমেয়েদের সেখানে পড়তে পাঠাতে নিষেধ করলেও তাঁদের নিজেদের পরিবারের সন্তানদের সেরা স্কুলে পড়ায়, অশান্তির আঁচ থেকে বাঁচাতে তাদের পাকাপাকি বিদেশে পাঠিয়ে দেয়।