তাঁকে এর আগে একাধিক সমন পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও (ইডি)। সেই তালিকায় যোগ হল আরও একটির।
জাকির নিজের এনজিও-কে হাওয়ালা লেনদেনে কাজে লাগিয়েছেন, নিজের স্ত্রী, বোনের ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিদেশে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছেন বলেও জানিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠরা।
ঢাকা হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদীরা জাকিরের ভাষণে উদ্ধুদ্ধ হয়েছিল বলে প্রকাশ্যে জানানোর পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। সম্ভবত, সৌদি আরবে রয়েছেন জাকির। জেরার মুখোমুখি হতে এনআইএ-র সামনে না এলে তাঁর কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। ইউএপিএ-র নানা ধারায় তো বটেই, জাকিরের বিরুদ্ধে সম্প্রীতির পরিপন্থী কাজকর্মে যুক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে।
গত বছরের নভেম্বরে জাকির ও তাঁর সঙ্গীদের নামে এফআইআর রুজু করে এনআইএ। তাদের অভিযোগ, মুসলিম যুবকদের ক্ষেপিয়ে তুলে সন্ত্রাস ছড়ানোর ছক ছিল জাকিরের।
ইউএপিএ-র আওতায় কেন্দ্র ইতমধ্যেই জাকিরের এনজিও-কে বেআইনি সংস্থা বলে ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট সেই পদক্ষেপ সঠিক বলে রায় দিয়েছে। আদালতের অভিমত, জাকিরের আইআরএফ, তার প্রেসিডেন্ট ও সদস্যরা 'বেআইনি কার্যকলাপে' মদত দিয়েছেন। অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছেন জাকির।