শ্রীনগর: গত দু’মাসে কাদের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে হিসেবহীন মোটা অঙ্কের অর্থ? কাশ্মীরের এই সব অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের তালিকা তৈরির জন্য স্থানীয় ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থার সাহায্য চাইতে চলেছে এনআইএ। তারা জানিয়েছে, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ-র ধারা অনুযায়ী এই সাহায্য করতে ব্যাঙ্কগুলি বাধ্য। এনআইএ জানিয়েছে, জঙ্গি বুরহান ওয়ানি খতম হওয়ার পর কাশ্মীরে যে অশান্তি শুরু হয়েছে, তার গভীরে ঢুকতে এই আকস্মিক অর্থ আগমনের উৎস খুঁজছে তারা। তবে উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ সহ অন্যান্য বেআইনি কাজকর্মে জুগিয়ে যাওয়া টাকার উৎস খোঁজার কথা বহুদিন ধরেই চলছে।


এনআইএ-র ইন্সপেক্টর জেনারেল সঞ্জীব সিংহ জানিয়েছেন, উপত্যকার বেশ কয়েকজন নাগরিক ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গত দু’মাসে মোটা অর্থের সন্দেহজনক লেনদেন করেছে। এদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ঢুকেছে মোটা অঙ্কের টাকা। এনআইএ নিশ্চিত, পাথর ছোঁড়া ও অন্যান্য অশান্তির সঙ্গে এই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের অনেকেই ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। হাতে হাতে টাকা বিলি করে অশান্তি জিইয়ে রাখা হচ্ছে বলে মনে করছে তারা।

এনআইএ জানিয়েছে, মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে তাদের গোয়েন্দারা তদন্ত চালাচ্ছেন। সেগুলির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, ভারত- পাকিস্তান বাণিজ্য। দু’দেশের মধ্যে আস্থাবর্ধনকারী পদক্ষেপ হিসেবে এই বাণিজ্য শুরু হলেও এ ধরনের বাণিজ্যের মাধ্যমে কাশ্মীরে অশান্তি তৈরির জন্য পাকিস্তান টাকা পাঠাচ্ছে বলে এনআইএ মনে করছে। এছাড়াও রয়েছে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা লেনদেন ও হাওয়ালায় টাকা পাঠানো। সব দিকই তদন্তে খতিয়ে দেখা হবে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।

তবে যদি ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা টাকার উৎসের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেন, তবে বিষয়টি সেখানেই শেষ হয়ে যাবে বলে এনআইএ আশ্বাস দিয়েছে।