নয়াদিল্লি: ভারতে যত পরিমাণ জালনোট ছড়িয়ে পড়ে, তার প্রায় ৮০ শতাংশ পাচার হয় বাংলাদেশ হয়ে। তাই এবার জাল ভারতীয় টাকার নোট চিনতে এবার বাংলাদেশ পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেবে ভারত।


সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বাংলাদেশের ২০০ জন পুলিশকর্মীকে এই প্রশিক্ষণ দেবেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কেন্দ্রীয় অর্থ-বিষয়ক দফতর এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে এনআইএ।

সূত্রের খবর, এই প্রশিক্ষণে উভয়পক্ষের মধ্যে ‘রিয়েল-টাইম’ তথ্যের আদানপ্রদানের ওপরও জোর দেওয়া হবে। ভারতে বর্তমানে ঠিক কত পরিমাণ জালনোট ছড়িয়ে রয়েছে, তার হদিস পাওয়া সম্ভব হয়নি। ২০১২-১৩ সালে কলকাতার একটি সংস্থাকে এই সমীক্ষা চালাতে বলেছিল এনআইএ।

সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এবং আন্ডারওয়ার্ল্ড গোষ্ঠীগুলি বিদেশ থেকে ভারতের বাজারে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার জালনোট ছড়িয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশই চিহ্নিত করতে পেরেছে তদন্তকারী সংস্থাগুলি।

সমীক্ষায় উঠে আসে, যে কোনও মুহূর্তে বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা মূল্যের জালনোট হাতবদল হচ্ছে। তবে, বাংলাদেশ তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পর সেই দেশ থেকে জালনোটের অনুপ্রবেশ অনেকটাই কমেছে।

ঢাকা প্রশাসন ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লিকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই, সেদেশ থেকে জালনোটের কারবারিদের উৎখাত করতেই এই উদ্যোগ। সূত্রের খবর, এই কারবারিরা মূলত বিমানবন্দর ও বন্দর এলাকা থেকেই অপারেট করে থাকে বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ প্রশাসন সূত্রে খবর, জালনোট মূলত মানবপাচার, মাদকপাচার থেকে শুরু করে নাশকতায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারতীয় জালনোটের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিও মার খেয়েছে বলে নয়াদিল্লির কর্তাদের জানিয়েছে ঢাকার প্রশাসকরা। এখন দুজনে মিলেই এই জাল ছেঁড়ার তোড়জোড় করছে।