নয়াদিল্লি: প্রোটেস্ট ক্যালেন্ডার। তাতে বিশদে লেখা কবে, কোথায়, কখন নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর কারা কারা পাথর ছোঁড়া শুরু করবে। নীচে সই হুরিয়ত কনফারেন্স চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানির। গিলানির জামাতার বাড়ি থেকে এই ক্যালেন্ডার উদ্ধার করেছে এনআইএ।


জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, পাকিস্তানের নির্দেশ এই ক্যালেন্ডার তৈরি করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তাতে তারিখ দিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, উপত্যকার কোথায় কখন কী ধরনের বিক্ষোভ শুরু হবে। গিলানির জামাতা আলতাফ আহমেদ সাহ ফান্টুসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া এই ক্যালেন্ডার বুঝিয়ে দিচ্ছে, কীভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে হুরিয়ত পাকিস্তানের সহায়তায় জঙ্গি পান্ডা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উপত্যকায় আগুন জ্বালিয়ে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই বিক্ষোভে কয়েকশো আহত হয়, প্রাণ যায় বেশ কয়েকজনের।

এনআইএ তদন্ত বলছে, পাক এজেন্সিগুলির যোগসাজসে হুরিয়ত উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদে হাওয়া দেয়। এতে স্থানীয় মোল্লা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী পান্ডাদের যোগ করেছিল তারা। ছিল বিজেপি-পিডিপি সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির কর্মীরাও।

যে ক্যালেন্ডার এনআইএ উদ্ধার করেছে, তাতে বিক্ষোভের কর্মসূচি রয়েছে গত বছর অগাস্ট থেকে, বুরহান খতম হওয়ার পর পর। ৬ অগাস্ট সৈয়দ আলি শাহ গিলানি সব গ্রাম গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় সব কটি চক ও কেন্দ্রে ভিড় করে প্রতিবাদ শুরুর ডাক দিয়েছে, সে সময় মসজিদে মসজিদে বাজানো হবে ইসলামিক ও স্বাধীনতা পন্থী গান।

আবার ৮ তারিখ শ্রীনগর সিভিল সেক্রেটারিয়েটের চারপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানো হবে, ঘিরে রাখা হবে সরকারি অফিস, যাতে কেউ কাজে যোগ দিতে না পারেন।

আবার ৯ তারিখ বিক্ষোভে নামবে মহিলারা, মসজিদে বাজবে আজাদির গান।

এর মধ্যে রবিবার জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর সোশ্যাল পিস ফোরামের চেয়ারম্যান ও হুরিয়তের আইনি সভার সদস্য দেবীন্দর সিংহ বহেলকে গ্রেফতার করেছেএনআইএ। অভিযোগ, তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে যোগসাজস রাখার কাজ করতেন।