কোঝিকোড়/কোচি:  কেরলে বর্তমানে ভয়াবহ আকার নিয়েছে নিপা ভাইরাস আতঙ্ক। এদিকে গতকালই হিমাচলপ্রদেশের এক স্কুলে অনেকগুলো বাদুরের দেহ পাওয়া যাওয়ায় নিপা আতঙ্ক গ্রাস করেছে সেরাজ্যেও। পশ্চিমবাংলাতেও এক ব্যক্তি কর্ণাটক থেকে ধুম জ্বর নিয়ে এসেছে, ভর্তি বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে। সবমিলিয়ে চারিদিকে নিপা ভাইরাস এক আতঙ্কের আকার নিচ্ছে।

 

এরমধ্যেই বৃহ্স্পতিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে যে বাড়ি থেকে প্রথম এই ভাইরাস ছড়ায়, তার কর্তার, ৬২ বছরের ভি.মুসার। সূত্রের খবর, কেরল প্রশাসনের তরফে মানুষকে সব রকমভাবে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করা হলেও, এই ভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দানা বাঁধছে। সেটা বর্তমানে একটা সামাজিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। কারণ, যেসমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্সরা নিপা আক্রান্তদের চিকিৎসা করছে, তাঁদের কোনও বাস, গাড়ি, অটোরিক্সা নিতে চাইছেন না। এমনকি এই ভাইরাসে আক্রান্তদের দেহ দাহ করতেও সমস্যা হচ্ছে। শেষকৃত্য সম্পন্ন করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না।

বুধবার পেরামব্রা তালুক হাসপাতাল থেকে একদল নার্স যখন বাসে উঠতে গিয়েছিলেন, বাসের অন্য যাত্রীরা তাঁদের নেমে যেতে বাধ্য করেন। প্রসঙ্গত, নিপা আক্রান্তদের আত্মীয়দের কার্যত একঘরে করে রাখা হয়েছে। এদিকে কোঝিকোড়ের যেসমস্ত হাসপাতালে নিপা আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে, সেখানে অন্যান্য রোগীদের আসার সংখ্যাও এই কয়েকদিনে অনেক কমে গিয়েছে, জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতি দেখে সমাজতত্ত্ববিদদের মত, মানুষের মধ্যে নিপা নিয়ে এক ভয়াবহ আতঙ্ক দানা বাঁধছে। তাঁরা সেই আতঙ্ক থেকে নিজেদের ও নিজের আত্মীয় পরিজনদের বাঁচাতে এভাবে আক্রান্তদের থেকে সরে থাকছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অসুখ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। যাতে অসুখ না ছড়ায়, তাই সমস্ত রকমের উদ্যোগ নিতে হবে।