মু্ম্বই ও নয়াদিল্লি: নীরব মোদীর মুম্বই, দিল্লি ও গুজরাতের একাধিক সম্পত্তিতে হানা, তল্লাসি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রায় ৫১০০ কোটি টাকার হিরে, অলঙ্কার, সোনাদানা উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই অভিযানে।
সরকারি সূত্রের খবর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইডি-র লোকজন জানিয়েছেন, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) অভিযোগের ভিত্তিতে ২৮০ কোটি টাকা জালিয়াতি মামলায় নীরব ও বাকি অভিযুক্তদের ৫টি সম্পত্তি সিল করে দেওয়া হয়েছে। এবার নীরবের পাসপোর্ট বাতিলের সুপারিশ নিয়ে বিদেশমন্ত্রকের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে ইডি।
গতকালই ২৮০ কোটি টাকার বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলা রুজু হয় নীরব, তাঁর স্ত্রী অ্যামি, ভাই নিশাল ও ব্যাবসার শরিক মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে।
আজ সকালেই মামলার সূত্র ধরে দশটি জায়গায় হানা দেয় ইডি। কুরলায় নীরবের বাসভবন, কালা ঘোরা এলাকায় জুয়েলারি বুটিক, বান্দ্রা ও মুম্বইয়ের লোয়ার পারেলে তাঁর কোম্পানির তিনটি অফিস, সুরাতের তিনটি বাড়ি ও দিল্লির ডিফেন্স কলোনি ও চাণক্যপুরীতে নীরবের শো রুমেও তাদের অভিযান চলে।


এ মাসের গোড়ায় দায়ের হওয়া সিবিআইয়ের এফআইআর খতিয়ে দেখে ইডি বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে মামলাটি দায়ের করে। নীরব ও বাকিদের বিরুদ্ধে পিএনবির অভিযোগটিও খতিয়ে দেখেছে ইডি।
সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির টাকা বাজারে বেআইনি ভাবে খাটিয়ে তার থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে অভিযুক্তরা বেআইনি সম্পত্তি ও কালো টাকার পাহাড় তৈরি করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবে ইডি।
২০১৩ থেকে দেশের ধনী, প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের তালিকায় নাম উঠছে নীরবের। পিএনবি-কে ২৮০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে ৩১ জানুয়ারি নীরব, তাঁর স্ত্রী, ভাই ও চোকসিকে অভিযুক্ত করে সিবিআই। পিএনবি সিবিআইকে আরও দুটি অভিযোগ পাঠিয়ে জানায়, কেলেঙ্কারি হয়েছে ১১৪০০ কোটি টাকার বেশি। ইডি তদন্তের পরিধি বাড়িয়ে ১১৪০০ কোটি টাকা জালিয়াতিকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। নীরব, তাঁর ভাই, স্ত্রী ও চোকসি, অর্থাত্ ডায়ামন্ড আর ইউএস, সোলার এক্সপোর্টসের পার্টনার ও দুই ব্যাঙ্ককর্মীর বাসভবনেও তল্লাসি চালায় সিবিআই। এদের নাম রয়েছে এফআইআরে।
তাতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডায়ামন্ড আর ইউ, সোলার এক্সপোর্টস, স্টেলার ডায়ামন্ডসকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। ফলে ২০১৭য় পিএনবি-র ২৮০.৭০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।