নয়াদিল্লি:  প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ নির্ভয়া মামলার চার সাজাপ্রাপ্তর একজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ‘১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হওয়ার থাকলে এই আর্জির অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত’।


সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিংহর আইনজীবী রাষ্ট্রপতির দ্বারা তার প্রাণভিক্ষার আর্জির নাকচ হয়ে যাওয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা পিটিশনকে জরুরি ভিত্তিতে তালিকাভূক্ত করতে বলেছিলেন।



এ ব্যাপারে আইনজীবীকে আদালতের রেজিস্ট্রির কাছে যেতে বলে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কারুর ফাঁসি ১ ফেব্রুয়ারি হওয়ার থাকলে বিষয়টি অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

সাজাপ্রাপ্তদের ১ ফেব্রুয়ারির মৃত্যু পরোয়ানা রদের আর্জি জানিয়েছ গত শনিবার ওই পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল।

আগামী শনিবার ফাঁসি হওয়ার কথা নির্ভয়া মামলায় চার সাজাপ্রাপ্ত মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিংহ, পবন গুপ্তার। তার আগে একেবারে শেষমুহূর্তে দায়ের করা পিটিশন ২০১২-র ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তাদের ফাঁসি স্থগিত রাখার মরিয়া চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে।

এর আগে দুই দোষীর কিউরিটিভ পিটিশন চলতি মাসের গোড়ায় খারিজ হয়ে যায় এবং ২২ জানুয়ারির মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর হয়। কিন্তু একেবারে শেষ মুহুর্তে মুকেশ সিংহ প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায়।  এর ফলে দিল্লি সরকারকে তাদের সাজা কার্যকর করার নতুন দিন দেখতে হয়।

রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ মুকেশের  প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেওয়ার পর সাজা কার্যকরের নতুন দিন ঘোষণা করা হয়।

প্রাণভিক্ষা ও কিউরিটিভ পিটিশন দায়েরের জন্য তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় নথি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। দিল্লির একটি আদালত শনিবার ওই আইনজীবীদের পিটিশন খারিজ করে দেয়।  সরকারের পর থেকে আদালতকে বলা হয় যে, এটা বিলম্ব ঘটানোর কৌশল ছাড়া অন্য কিছু নয়।

গত সপ্তাহেই কেন্দ্র মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা যাতে আইনি বিকল্পের অপব্যবহার না করে সাজার বিলম্ব ঘটাতে না পারে সেজন্য মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত মামলায় নির্দেশিকা বদলের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানায়।

২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে এক মেডিক্যাল পড়ুয়াকে গণধর্ষণ ও নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়। এরপর চলন্ত বাস থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়। একজনকে জেলের সেলেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ষষ্ঠ অভিযুক্তের বয়স  অপরাধের সময় ১৮-র কম হওয়ায় তিন বছর সংশোধনাগারে থাকার পর ছাড়া পায়।