নয়াদিল্লি: নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অরবিন্দ পানাগারিয়া। নতুন করে ঢেলে সাজানো যোজনা কমিশনের মাথায় আড়াই বছর থাকার পর সরে গেলেন তিনি। ৩১ আগস্ট শেষ তিনি নীতি আয়োগে আসবেন। যোজনা ভবন থেকে বিদায়ের পর তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় ফিরছেন বলে খবর। পড়ানোই তাঁর প্রথম প্রেম, বলেছেন এই নামী অর্থনীতিবিদ।

তিনি কাজ করেছেন এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকনমিক্সে অর্থনীতিবিদ ও কো-ডিরেক্টর পদেও ছিলেন। নানা পদে, দায়িত্বে কাজ করেছেন বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, রাষ্ট্রপুঞ্জের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংক্রান্ত কনফারেন্সেও।

৬৫ বছরের পুরানো যোজনা কমিশনকে নেহরু জমানার সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার ঐতিহ্যবাহী বলে এনডিএ সরকারের অনেকে মনে করতেন। সেটি তুলে দিয়ে ২০১৫-র ১ জানুয়ারি চালু হয় নীতি আয়োগ। শুরুতেই তার মাথায় পানাগারিয়াকে বসান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বলা হয়, বদলে যেতে থাকা সময় ও নতুন এক ভারতের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকে।

সাবেক যোজনা কমিশনের মতো নীতি আয়োগেরও সর্বোচ্চ কর্তা প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন ছিল পানাগারিয়ার পক্ষে।

সম্প্রতি মোদীর সঙ্গে দেখা করে তিনি বোঝান, কেন তিনি নীতি আয়োগ ছেড়ে পড়ানোর পেশায় ফিরতে চাইছেন। তবে রাজধানীর ক্ষমতার অলিন্দে শোনা যাচ্ছে, সিইও অমিতাভ কান্তের প্রতিপত্তি নাকি নীতি আয়োগ ছেড়ে পানাগারিয়ার চলে যাওয়ার কারণ। তিনি ও কান্ত, দুজনেই নীতি আয়োগের মাথায় থাকার ফলে সমস্যা হচ্ছিল।

বাজার অর্থনীতির কট্টর সমর্থক বলে পরিচিত পানাগারিয়া আরেক নামী অর্থনীতিবিদ জগদীশ ভগবতীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ভারতীয় অর্থনীতির ওপর বিতর্কে নামতে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন দুজনে।