যে ভাবে পেট্রোপণ্যের নিত্যদিন দাম বাড়ছে তাতে সাধারণ মানুষের আশঙ্কা, শিগগিরই এই দাম ১০০ টাকা প্রতি লিটার ছুঁয়ে যাবে। বিরোধীরা অভিযোগ করছে, সাধারণ মানুষের পকেট কেটে কোষাগার ভরছে কেন্দ্র। দেশের নানা জায়গায় এ নিয়ে আন্দোলনও চলছে। এর মধ্যেই গড়কড়ি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যদি সরকারি অর্থে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমাতে হয়, তবে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা কঠিন হবে। তাঁর কথায়, এই মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য, বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতির ফসল। পরোক্ষভাবে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত। যদি পেট্রোপণ্য কণ দামে বেচতে হয়, তাহলে বেশি দামে কিনে ভর্তুকি দিয়ে তা বিক্রি করতে হবে। ফলে সামাজিক কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির জন্য অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না।
গড়কড়ি বলেছেন, সেচ, গ্রামীণ বৈদ্যুতীকরণ কর্মসূচি, গ্রামীণ মহিলাদের বিনা মূল্যে রান্নার গ্যাস সরবরাহের মত নানা সরকারি প্রকল্পে আর্থিক টানাটানি শুরু হবে যদি পেট্রোপণ্যে ভর্তুকি দিতে হয়। নরেন্দ্র মোদী সরকার গত ৪ বছরে বেশ কয়েকবার পেট্রোল, ডিজেলের আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করলেও গড়কড়ি তাকে অর্থনীতির ভিত্তি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে বলেছেন, পেট্রোপণ্যের দাম কমানো হবে কিনা, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নেবেন।