পটনা:  ১ এপ্রিল থেকে গ্রামীণ এলাকায় দেশি মদের ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞায় অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে বলে দাবি করে গোটা বিহারে আজ থেকেই অ্যালকোহল পুরোপুরি নিষিদ্ধ করলেন নীতীশ কুমার।


 

গত শুক্রবার বিহারের গ্রামাঞ্চলে শুধু দেশী মদ বিক্রি ও খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। প্রকাশ্যে দেশী মদ তৈরি, বিক্রি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লে মৃত্যুদণ্ড -এহেন কঠোর সাজার ফলে চারদিনে গ্রামীণ, শহর এলাকায় সব দেশী মদের দোকানে ঝাঁপ পড়ে যায়। তবে সেদিন শহর-নগর এলাকায় বিদেশি মদ বিক্রি ও খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়নি। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রতিক্রিয়া দেখে ধাপে ধাপে ৬ মাসের মধ্যে সারা রাজ্যেই পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে সব ধরনের মদ। কিন্তু  ৬ মাস অপেক্ষা করতে হল না,  চারদিনের মধ্যেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। মঙ্গলবার ২ ঘণ্টার ক্যাবিনেট বৈঠকে মদে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ থেকেই তা কার্যকরও হচ্ছে। অর্থাত্ এখন থেকে বিহারে বার, রেস্তোরাঁ সহ কোথাওই  বৈধ উপায়ে মদ মিলবে না।

[gallery ids="196528"]

নীতীশ আজ বলেন, দেশি মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার চারদিনের মধ্যেই যে বিপুল সাড়া মিলেছে, তা বলা যায় একপ্রকার সামাজিক বিপ্লব, আন্দোলন। আমরা ভেবেছিলাম ৬ মাস পর পুরো নিষিদ্ধ করব। কিন্তু পটনা ও অন্য শহরগুলিতে মহিলা, বাচ্চারাও যেভাবে নিষেধাজ্ঞায় সমর্থন করেছে, তাতে স্পষ্ট, অ্যালকোহল-বিরোধী জনমত গড়ে উঠেছে। সেজ্ন্যই মাত্র ৪ দিনের মধ্যেই সারা রাজ্যে মদ পুরোপুরি নিষিদ্ধ হল।

 

ঘটনাচক্রে, মদ্যপান নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নীতীশের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে তিনি মহিলা ভোটারদের কাছে ক্ষমতায় এলে মদ্যপান পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হলে রাজ্যের কোষাগারের ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে দেওয়া হবে, প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তিনি অ্যালকোহল থেকে রাজস্ব চান না। গত বছর বিহার মদ বেচে ঘরে তুলেছিল ৩৩০০ কোটি টাকা।

 

গত চারদিনেও  নীতীশের মদে আংশিক নিষেধাজ্ঞায় সমর্থনের ঢল দেখা গিয়েছে। রাজ্যের ২৪৩ জন বিধায়কই আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার শপথ নিয়েছেন। পুলিশকর্মীরাও সোমবার লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আর মদ ছোঁব না, শপথ নিয়েছেন। পটনায় কন্ট্রোল রুম খুলেছে পুলিশ।