পটনা: নীতীশকুমারের সঙ্গে এক মঞ্চ ভাগ করে বিহারের উন্নয়নে তাঁর 'দায়বদ্ধতা'র প্রসঙ্গ টেনে ভূয়সী প্রশংসা করলেন নরেন্দ্র মোদী। লালুপ্রসাদ যাদব, কংগ্রেসের সঙ্গ ছেড়ে নীতীশের জেডি(ইউ) এনডিএ-তে ফেরার পর শনিবার প্রথম দুজন পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী উদযাপনের মঞ্চে এলেন।

কেন্দ্র ও নীতীশের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার বিহারকে ২০২২ সাল নাগাদ দেশের অন্যান্য সমৃদ্ধ, উন্নত অঞ্চলের পাশে তুলে আনার শপথ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানান মোদী।

তিনি বলেন, নীতীশজি বিহারের উন্নয়নে দায়বদ্ধ। কেন্দ্রীয় সরকারও দেশকে উন্নত করার শপথ নিয়েছে। একযোগে কাজ করে আমরা সুনিশ্চিত করব যে, ২০২২-এ ভারত যখন স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর উদযাপন করবে, সেসময় বিহার দেশের সমৃদ্ধশালী রাজ্যগুলির তালিকায় চলে আসবে।

বিহার সরস্বতীর আশীর্বাদ পেয়েছে, তবে সমৃদ্ধি, ধনসম্পদের দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করে উন্নতির রাস্তায় এগিয়ে নতুন স্তরে রাজ্যের উত্তরণ ঘটানোর সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

নীতীশকুমার পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিত হওয়ায় 'আজ বিরাট সম্মানের দিন' বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে 'হাতজোড় করে পটনা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া'র আবেদনও করেন।

যদিও মোদী তাঁর ভাষণে কেন্দ্রীয় মর্যাদা দানের বিষয়টি 'অতীতের ব্যাপার' বলে মন্তব্য করেন, বলেন, তাঁর সরকার 'এক ধাপ এগিয়ে' দেশের দশটি সরকারি ও দশটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বসেরা করে গড়ে তুলতে চায়।