উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংসদে অনুমোদিত হয়েছে। সংসদের উভয় কক্ষেই এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে বিহারে বিজেপির শরিক জেডি-ইউ। কিন্তু তা নিয়ে জেডি-ইউ-র অন্দরে ক্ষোভ দাঁনা বেঁধেছে। দলের নেতা প্রশান্ত কিশোর প্রকাশ্যেই তাঁর অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও আরও কয়েকজন নেতা বিলে নীতীশের সমর্থনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। দলের জাতীয় সম্পাদক তথা মুখপাত্র পবন কুমার ভার্মা গতকাল বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব আইনে জেডি-ইউ-র সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়ে দল ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন। তিনি নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্যও নীতীশের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন।
এর আগে প্রশান্ত কিশোর নীতীশের সঙ্গে দেখা করে দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বলে খবর। দলের সহ সভাপতি প্রশান্ত কিশোরকে বিহারে এনআরসি রূপায়ণ না করার বিষয়ে নীতীশ আশ্বস্ত করেছিলেন বলে খবর। এবার নীতীশ নিজেই জানিয়ে দিলেন, বিহারে এনআরসি হবে না।
উল্লেখ্য, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টানায়েকের দলও সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছিল। পরে নবীন জানিয়েছিলেন যে, তিনি দেশজুড়ে এনআরসি-র সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন না। তিনি বলেছিলেন, সংশোধিত্ব নাগরিকত্ব আইনের সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা বিদেশীদের বিষয়। দলের সাংসদরা লোকসভা ও রাজ্যসভায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বিজেডি এনআরসি সমর্থন করে না।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে এনআরসি কার্যকর না করার কথা জানানো হয়েছে।