পটনা: অবশেষে এনডিএ-তে ফিরছেন নীতীশ কুমার। প্রায় চার বছরের ব্যবধানে কেন্দ্রের শাসক জোটে ফিরছেন বিহারের জেডিইউ মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৩ সালে প্রায় দু দশকের সম্পর্ক চুকিয়ে এনডিএ ছেড়েছিলেন নীতীশ।

শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তনের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। সম্প্রতি বিহারে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি, কংগ্রেসের জোট ভেঙে বেরিয়ে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিকে সঙ্গী করে সরকার গঠন করেছেন নীতীশ।

লালুপ্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ হাতিয়ার করে তিনি জোট ছাড়েন। তার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আজ মোদীর জোটে ফের ঢোকার ঘোষণা। শোনা যাচ্ছে, নীতীশের দল থেকে দুজনকে কেন্দ্রে মন্ত্রীও করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

গত সপ্তাহে দিল্লি গিয়েছিলেন নীতীশ। তখনই তাঁকে বিজেপির তরফে জোটে ফেরার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আজ জেডিইউয়ের নীতীশ শিবিরের কর্মসমিতির প্রস্তাবে সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

এদিকে বিদ্রোহী নেতা শরদ যাদব, যিনি নীতীশের বিজেপির হাত ফের ধরার লাইন একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না, জেডি ইউয়ের আজকের বৈঠকে যাননি। সেখানে তাঁকে মতামত জানানোর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে নীতীশ শিবির। বৈঠকের পরিবর্তে তিনি হাজির হয়েছেন প্রায় দু ডজন জেডি ইউ বিধায়কের সভায়। শরদ সম্প্রতি রাজ্যের তিন জেলায় সফরে গিয়েছিলেন। ওই বিধায়কদের সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। দল তাঁদের সাসপেন্ড করেছে এজন্য।

বিহারে বিজেপির সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করায় শরদকে রাজ্যসভায় দলের নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও এখনও তাঁকে সাসপেন্ড করেনি নীতীশ শিবির। তবে শরদকে এদিন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেডি ইউ-এর সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী। তিনি বলেছেন, শরদ যাদবকে জেডি ইউ-এর জাতীয় কর্মসমিতিতে ডাকা হয়েছে। তিনি মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলতেই পারেন। কিন্তু উনি যেন লালুপ্রসাদ যাদবের অনুষ্ঠানে না যান, গেলে ওনার ওপর আমাদের আস্থা থাকবে না।