নয়াদিল্লি: রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও মনিপুরে বিধানসভা নির্বাচনে বাছাই করা আসনে একাই লড়বে বিজেপির শরিক জেডি(ইউ)।নীতীশকুমারের দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে বলেন, কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আমরা বিজেপির সহায় হচ্ছি। কিন্তু আমরা ওদের সমর্থন বা বিরোধিতা কোনওটাই করছি না। ওদের সাহায্য করছি না।

নীতীশকেই চার রাজ্যের আগামী বিধানসভা ও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দিয়েছে দলের জাতীয় কর্মসমিতি।

বৈঠকে পৌরহিত্য করে নীতীশ গত মাসের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, আমাদের খতম করা বা উপেক্ষা করা যাবে না। তাঁর দল ক্ষমতায় থাকুক বা না-ই থাকুক, তিনি অপরাধ, দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে আপস করবেন না।
নীতীশ বৈঠকের আগে দলীয় পদাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। ঠিক হয়েছে, ১২ জুলাই আসন ভাগাভাগির ব্যাপারে তিনি কথা বলবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে।
২০১৯-এর ভোটে এনডিএ শরিকদের মধ্যে আসন বন্টনের ইস্যুতে বিজেপির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক মার খাওয়ার খবরকে গুরুত্ব দিতে চাননি জেডি (ইউ) নেতারা। এনডিএ একজোট হয়েই লড়বে বলে তাদের দাবি। জেডি (ইউ) সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় কুমার বলেন, কোন পার্টি কটি আসনে লড়বে, তা ঠিক হবে পরে।

শোনা যাচ্ছিল, বিজেপির সঙ্গে মতবিরোধের জেরে কংগ্রেস, আরজেডি-র সঙ্গে পুরানো জোট জিইয়ে তুলতে পারে নীতীশের দল। দলের একাধিক নেতা নাকি ২০১৩-য় নীতীশ বিজেপির সঙ্গে জোট ভাঙার আগে দল যে মর্যাদা, গুরুত্ব পেত, তা ফেরানোর দাবি তুলেছেন। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিহারে ৪০টির মধ্যে ২২টি পেয়েছিল বিজেপি, শরিক রামবিলাস পাসোয়ানের এলজেপি ৬টি, উপেন্দ্র কুশওয়ার আরএলএসপি ৩টি আসন পায়। জেডি (ইউ) জেতে মাত্র ২টি। ফলে বিজেপি তাদের বেশি আসন ছাড়তে নারাজ।

পাল্টা জেডি (ইউ)-এর সওয়াল, ২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির চেয়ে তারা অনেক ভাল ফল করেছিল, তাই লোকসভা ভোটে আসন বন্টনে তাদের দাবি গুরুত্ব দিতে খতিয়ে দেখতে হবে।
কর্মসমিতির বৈঠকে মোদী সরকারের দেশব্যাপী একযোগে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচন করার সুপারিশ সমর্থন করে জেডি (ইউ)। যদিও তারা এ নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সব দলের ঐকমত্য তৈরির কথা বলেছে।
পাশাপাশি নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টানদের ৬ বছর বসবাসের পর ভারতীয় নাগরিকত্বের দেওয়ার যে প্রস্তাব উঠেছে, তাতে দলের আপত্তির কথাও বৈঠকে উঠেছে। ধর্ম নাগরিকত্ব পাওয়ার মাপকাঠি হতে পারে না বলে মনে করে জেডি (ইউ)।