নয়াদিল্লি:  নিষ্কর্মা কেন্দ্রীয় কর্মীদের জন্য খারাপ খবর। কোনও কর্মীর কাজ প্রত্যাশা-মাফিক না হলে তাঁর বার্ষিক বেতনবৃদ্ধি বা পদোন্নতি হবে না বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্র। পদোন্নতি এবং বেতন বৃদ্ধির মাপকাঠি হিসেবে পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল (কাজের মূল্যায়ন)-এর ক্ষেত্রেও নিয়ম বদল হচ্ছে। কাজের মূল্যায়নে ‘ভাল’ (গুড) পেলে নয়, ‘খুব ভাল’ (ভেরি গুড) পেলে তবেই বাড়বে বেতন। সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।

মডিফায়েড অ্যাশিওরড কেরিয়ার প্রোগ্রেসন বা এমএসিপি ব্যবস্থা আগের মতোই চালু থাকবে। এক্ষেত্রে পে কমিশনের সুপারিশ ‘গ্রহণ’ করেছে সরকার। এই সুপারিশ অনুযায়ী, প্রত্যেক কর্মীর কর্মজীবনের ১০ বছর, ২০ বছর এবং ৩০ বছরের মাথায় কাজের মূল্যায়ন হবে। প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থাও চালু থাকবে। কিন্তু বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতি হবে কি না, তা নির্ভর করবে কর্মীদের ‘পারফরম্যান্স’-এর উপর। অর্থাৎ, যে কর্মীরা বছরভর কাজ দেখিয়ে মূল্যায়নে ‘ভেরি গুড’ পাবেন, বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতি শুধু তাঁদেরই হবে। আগে ‘গুড’ পেলেই বেতন বাড়ত বা পদোন্নতি হত।

এত দিন সরকারি অফিসে ‘আসি যাই মাইনে পাই’-এর যে জমানা চলছিল, তার মূলে কুঠারাঘাত করতেই এই বিধি চালু হচ্ছে। কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, বহুপ্রচলিত একটা ধারনা রয়েছে যে, অফিসে গিয়ে কাজ ঠিকমতো করুন বা না করুন, বছর শেষে সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতি কেউ আটকাতে পারবে না। এমএসিপি-কে নিতান্তই একটা নিয়ম হিসেবে  দেখার রেওয়াজও প্রচলিত রয়েছে। কমিশন মনে করে, যে সব কর্মী তাঁদের নির্ধারিত মাপকাঠি অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন না, তাঁদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া সমীচিন নয়।

কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, কোনও কর্মী কর্মজীবনের প্রথম ২০ বছর এমএসিপি বা নিয়মিত পদন্নোতি- কোনও একটির মাপকাঠি ছুঁতে ব্যর্থ হলে, তাঁর বার্ষিক বেতনবৃদ্ধির সুযোগও হাতছাড়া হয়ে যাবে। কর্মীদের কাজে ফাঁকি রুখতে এই ব্যবস্থা কার্যকরী হবে বলে সুপারিশে জানায় কমিশন।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের প্রায় ৫০ লক্ষ কর্মচারী রয়েছে।