৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহানি ওয়ানির মৃত্যুর জেরে গত ৫১ দিনের অসন্তোষ মোকাবিলায় উপত্যকায় পেলেট গান চালানো ঘিরে জোর বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। পেলেট গান থেকে বেরনো ছররার আঘাতে বহু যুবক দৃষ্টি হারিয়েছেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্র ও রাজ্য-দুই সরকারকেই এজন্য দুষছেন কাশ্মীরের মানুষজন। সেই প্রেক্ষাপটেই জনৈক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, পেলেট গান ব্যবহারের অপশন বাহিনীর হাতে থাকবেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৪-২৫ আগস্ট দুদিনের কাশ্মীর সফরে আগামী দিনে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে পেলেট গানের বিকল্প তুলে দেওয়া হবে হবে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি বলেছিলেন, আমরা পেলেট গানের বিকল্প বন্দুকের ব্যবস্থা করছি। এই গানগুলি আগে ক্ষতিকর নয় বলেই মনে করা হত। কিন্তু কিছু ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আমরা এ নিয়ে মাসখানেক আগে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করেছি। তারা সব খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে।
এদিকে পেলেট গানের বিকল্প খুঁজে বের করতে নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি এক ধরনের হাতিয়ার পছন্দ করেছে। ‘পাভা শেল’ নাম এটির। এতে ক্ষয়ক্ষতি পেলেট গানের চেয়ে কম হয়। সাময়িক অশান্ত জনতাকে বিমূঢ় করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে এর। গত সপ্তাহে এর কার্যকারিতার পরিচয় দিতে প্রদর্শনীর আয়োজন করে কমিটি। তারা এটি ব্যবহারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। জানা গিয়েছে, পাভা শেল নিয়ে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়েছে লখনউয়ে ইনস্টিটিউট অব টক্সিকোলোজি রিসার্চ সংস্থায়। কাশ্মীরে যখন অশান্তি চরমে, তখন বাস্তবে এর ব্যবহারে সম্মতি মিলল।
শোনা যাচ্ছে, কমিটি সুপারিশ করেছে, গোয়ালিয়রে বিএসএফের টিয়ার স্মোক ইউনিটকে এখনই প্রচুর পরিমানে পাভা শেল উত্পাদনের দায়িত্ব দেওয়া হোক। অন্তত প্রথম পর্যায়ে যেন ৫০ হাজার রাউন্ডের কম তৈরি না হয়।