নয়াদিল্লি: টিডিপি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও এআইএডিএমকে সাংসদদের হট্টগোলের জের। লোকসভায় আজ পেশই হতে পারল না নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আনা প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব। অধিবেশন আগামীকালের জন্য মুলতুবি হয়ে গিয়েছে। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর তারা আলোচনা করতে তৈরি।


এর আগে ঝামেলার জেরে আজ বেলা ১২টা পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও টিডিপি অভিযোগ করে, অনাস্থা প্রস্তাব পেশ হওয়া রুখতে এডিএমকে ইচ্ছে করে হইচই বাধিয়েছে। সরকারের পাশে নেই সবথেকে পুরনো জোটসঙ্গী শিবসেনাও। জানিয়েছে, অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির সময় অনুপস্থিত থাকবে তারা।

অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের তকমা দেওয়ার দাবিতে আজ সংসদে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চায় ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও তেলুগু দেশম পার্টি। মোদী সরকারের ৪ বছরের শাসনকালে এটাই বিপক্ষের আনা প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব। ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও টিডিপির এই প্রস্তাবকে সমর্থন করতে চলেছে কংগ্রেস, বাম, তৃণমূল, এসপি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ও আরজেডি। তবে টিআরএস ও এআইডিএমকে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়েই কেন্দ্রের পাশে থেকেছে, তাই এবারও তাদের সমর্থন মোদী সরকারের দিকেই থাকতে পারে।
ওয়াইএসআর কংগ্রেস ও টিডিপি অন্ধ্রের আঞ্চলিক রাজনীতিতে পরস্পরের ঘোর বিরোধী। কিন্তু বিশেষ রাজ্যের তকমা নিয়ে আঞ্চলিক আবেগ নিজেদের দিকে নিয়ে আসার বাধ্যবাধকতা উভয় দলেরই রয়েছে। তাই দুজনেই নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চেয়ে।

এখন দেখে নেওয়া যাক এই অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে মোদী সরকার কোনওভাবে বেকায়দায় পড়তে পারে কিনা। সদ্য সরকারের হাত ছাড়া টিডিপির রয়েছেন ১৬ জন সাংসদ। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ৯ জন। তৃণমূল কংগ্রেসের রয়েছেন ৩৪ জন। অর্থাৎ অনাস্থা আনার জন্য প্রয়োজনীয় ৫৪ জন সাংসদের সমর্থন এখানেই পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া রয়েছে কংগ্রেসের ৪৮ জন সাংসদের সমর্থন।

তবে লোকসভায় এনডিএর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সরকার পড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। শুধু বিজেপির সঙ্গেই ২৭২ জন সাংসদ রয়েছেন, এছাড়াও রয়েছে জোটসঙ্গীদের সমর্থন।