নয়াদিল্লি: দেশের পরীক্ষাগারগুলিতে পরিকাঠামোর সমস্যা থাকায় প্রতি বছর ১৩,০০০ ধর্ষণের মামলায় ফরেন্সিক অ্যানালিসিস করা যায় না বলে জানালেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গাঁধী। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, অপরাধ চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্বল দিক হল ফরেন্সিক। আমি এটা জেনে হতবাক, দেশের প্রথমসারির ফরেন্সিক পরীক্ষাগারগুলিতে প্রতি বছর ১৬০টিরও কম অ্যানালিসিস হয়। সারা দেশে ফরেন্সিক পরীক্ষাগারগুলি প্রতি বছর ১৬ হাজারের মধ্যে ১৩ হাজার অ্যানালিসিস করে না।’


মানেকা আরও জানিয়েছেন, এই সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে চণ্ডীগড়ের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির পরিকাঠামোগত উন্নতি করা হচ্ছে। বর্তমানে এখানে বছরে ১৬৫টি অ্যানালিসিস করা সম্ভব হয়। সেটা বাড়িয়ে ২,০০০ করা হচ্ছে। এর জন্য নির্ভয়া ফান্ড থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। মুম্বই, চেন্নাই, পুণে, ভোপাল ও গুয়াহাটিতে আরও পাঁচটি পরীক্ষাগার তৈরি করা হবে। ধর্ষণের ক্ষেত্রে দ্রুত রায় দেওয়ার জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করা জরুরি। সেজন্য শীঘ্রই থানা ও হাসপাতালগুলিতে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হবে। এই কিট কেনার টাকাও দেওয়া হবে নির্ভয়া ফান্ড থেকে।

মানেকা বলেছেন, মহিলাদের উপর অত্যাচারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি নিচ্ছে সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে ১২ বছরের কমবয়সিদের ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের অর্ডিন্যান্স পাশ করিয়েছেন। যে মহিলারা ধর্ষণ বা পারিবারিক হিংসার ঘটনার অভিযোগ জানাতে থানায় যেতে ভয় পান, তাঁদের জন্য সখী নামে ১৯৩টি কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় এই কেন্দ্র তৈরি করা হবে। সেখানে মহিলারা আইনজীবী, চিকিৎসক, নার্স ও মনোবিদের সাহায্য পাবেন।