নয়াদিল্লি: চলতি বছর থেকেই হজের উপর থেকে ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নিল কেন্দ্র। মঙ্গলবার এই ঘোষণা করেন সংখ্যালঘু মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি।


প্রতিবছর হজ যাত্রায় ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র। হজযাত্রীদের সুবিধার্থে এই ভর্তুকি দেওয়া হত। ২০১২ সালে তৎকালীন দ্বিতীয় ইউপিএ জমানায়, ২০২২ সালের মধ্যে ধাপে ধাপে ভর্তুকি তুলতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ।


শীর্ষ আদালতের রায়ের পর গঠিত হয় বিশেষ কমিটি। সেই কমিটির সুপারিশ মেনে প্রতিবছর ধাপে ধাপে কমানো হয় হজ-ভর্তুকির পরিমাণ। যেমন- ২০১৩ সালে এই খাতে বরাদ্দ করা হয় ৬৮০ কোটি। ২০১৪ সালে হয় ৫৭৭ কোটি, ২০১৫ সালে ৫২৯ কোটি এবং ২০১৬ সালে ৪০৫ কোটি।


কেন্দ্রে পালাবদল হওয়ার পর ভর্তুকি পাকাপাকিভাবে তুলে দিতে ভাবনাচিন্তা শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। এই নিয়ে দীর্ঘ পর্যালোচনা করার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এদিন নকভি জানান, এবার থেকে সংখ্যালঘু উন্নয়নের বিভিন্ন প্রকল্পে হজ-ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ অর্থ ব্যয় করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের নীতি হল বিনা তোষণে উন্নয়ন। সেই লক্ষ্যে, সম্মানের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন করতে বদ্ধপরিকর মোদী সরকার। তিনি বলেন, নারী ও শিশুর শিক্ষায় ব্যয় হবে ভর্তুকির টাকা। নকভি জানান, ভর্তুকি ছাড়াই এবছর ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মুসলিম ভারত থেকে হজযাত্রায় যাবেন। সংখ্যার বিচারে যা রেকর্ড।


 ভর্তুকি তুলে নেওয়ার সমর্থনে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন নকভি বলেন, আমার মতে হজযাত্রাও সম্মানের হওয়া উচিত। তিনি মনে করিয়ে দেন, এই ভর্তুকিতে এতদিন মুসলিমদের কোনও ফায়দা হতো না। কারণ, এই ভর্তুকি দেওয়া হত বিমান ভাড়া বাবদ। ফলত, পুরো টাকাটাই যেত বিমান সংস্থাগুলির পকেটে।


তিনি জানান, গরিব মুসলিমদের হজযাত্রায় সুবিধা দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে কেন্দ্র। নকভি জানান, ইতিমধ্যেই, জাহাজে করে তাঁদের হজে পাঠানোর কথা চলছে। ইতিমধ্যেই, সৌদি আরবের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই যাত্রার খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করা হবে।