নয়াদিল্লি: বিয়েতে পাত্র বা পাত্রী, কোনও পক্ষই যাতে নিজেদের কত বৈভব, সম্পদ আছে, তা  জনসমক্ষে 'দেখিয়ে দেওয়া’ থেকে বিরত থাকেন, সে ব্যাপারে বিল পেশ করলেন কংগ্রেসের সাংসদ রঞ্জিত রঞ্জন। সাংসদ পাপ্পু যাদবের স্ত্রী রঞ্জিতের  স্ত্রীর আনা বিলে বলা হয়েছে, বিয়েবাড়িতে কতজন অতিথি, আত্মীয়স্বজনকে আমন্ত্রণ করা হবে,  কত খাবারের  প্লেটের আয়োজন থাকবে, তার ঊর্ধ্বসীমা ঠিক করে দিতে হবে।

পাশাপাশি তাঁর আরও প্রস্তাব, বিয়েতে ৫ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হলে তার ১০ শতাংশ সংশ্লিষ্ট পরিবারকে গরিব পরিবারের মেয়েদের বিয়ের জন্য দিতে হবে। বিয়েতে জাঁকজমক, আড়ম্বর, দেদার খরচ করে লোক খাওয়ানোয় আপত্তি রঞ্জিতের। জানা গিয়েছে, তিনি যে বিবাহ (বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন ও অপব্যায় রোধ) সংক্রান্ত বিল, ২০১৬ পেশ  করেছেন, সেটি লোকসভার আগামী অধিবেশনে উঠবে।

তিনি  বলেছেন, দুটি মানুষ বিয়ে করে আজীবন একসঙ্গে থাকার শপথ করছেন, এটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হোক। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা, আজকাল ধুমধাম করে বিয়েতে জলের মতো পয়সা খরচ করার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে।  এখন  বিয়ে মানেই আপনি কত  বিপুল বিত্ত, বৈভবের অধিকারী, তা  বিনা সংকোচে সবাইকে দেখানো। এর ফলে গরিব পরিবারগুলিও সমাজে মান রাখতে চাপে পড়ে যাবতীয় সঞ্চয় বিয়ের পিছনে ঢেলে দেয়। এতে সামগ্রিক ভাবে সমাজের ভাল হয়  না। তাই বিয়েতে বেলাগাম খরচে রাশ টানা উচিত।

বিলে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, কোনও পরিবার বিয়েতে ৫ লক্ষ টাকার ওপর খরচ  করতে চাইলে সরকারকে আগে জানাতে হবে, গরিব ও গরিবি রেখার নীচের পরিবারগুলির অসহায় মেয়েদের বিয়েতে সাহায্য করার তহবিলে তার ১০ শতাংশ অর্থ দিতে হবে।

এ ব্যাপারে আইন চালু করা হলে  বিয়ে হয়ে যাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সব বিয়ের নথিভুক্তিকরণ হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে বিলে।