নয়াদিল্লি: মহাত্মা গাঁধীর হত্যার পুনর্তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিলেন আদালত-বান্ধব। তাঁর দাবি, হত্যার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র এবং হত্যাকারী নাথুরাম বিনায়ক গডসের পরিচয় প্রতিষ্ঠিত।


এই মামলায় আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য প্রবীণ আইনজীবী অমরেন্দ্র সরণকে আদালত-বন্ধু হিসেবে নিয়োগ করেছিল শীর্ষ আদালত। এদিন নিজের রিপোর্ট দাখিল করতে গিয়ে সরণ জানান, ‘ফোর্স ১৩৬’ নামে ব্রিটিশ স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের উপস্থিতি এবং গাঁধী-হত্যায় তাদের ভূমিকা প্রতিষ্ঠিকত নয়।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, মামলার নথি প্রমাণ করছে যে, নিরপেক্ষ বিচারবিভাগ গডস সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের অপরাধকে সাব্যস্ত করে যথোপযুক্ত বিচার করেছে। মুম্বইয়ের গবেষক তথা অভিনব ভারতীর ট্রাস্টি পঙ্কজ ফাড়নিস শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে এই ঘটনার পুনর্তদন্তের আর্জি জানান। তাঁর দাবি, এই ঘটনাটি ইতিহাসের অন্যতম ‘কভার-আপ’ বা সাজানো ঘটনা।


প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি, দিল্লিতে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় মহাত্মা গাঁধীকে। ঘটনায় অভিযুক্ত হন হিন্দু জাতিয়তাবাদের দক্ষিণ-পন্থী সমর্থক গডসে। মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন গডসে ও নারায়ণ আপ্তে। ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর, দুজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।


সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করা রিপোর্টে সরণ বলেছেন, মহাত্মার দেহ ভেদ করা গুলি, যে বন্দুক থেকে ওই গুলি চালানো হয়েছিল, যে ষড়যন্ত্রের অঙ্গ হিসেবে এই হত্যা করা হয় এবং হত্যার নেপথ্যে থাকা আদর্শ—এসব কিছুই প্রতিষ্ঠিত। ফলে, এই নিয়ে নতুন করে তদন্ত করার কোনও প্রয়োজন নেই। আগামী ১২ তারিখ বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।