নয়াদিল্লি: দেশীয় উড়ানে ইকনমি ক্লাসের যাত্রীদের আর আমিষ খাবার দিচ্ছে না এয়ার ইন্ডিয়া। খরচ কমানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে এতদিন যেমন এয়ার ইন্ডিয়ার ইকনমি ক্লাসের যাত্রীরা নিরামিষ ও আমিষ আহারের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ পেতেন, সেটা আর নেই। শুধুই নিরামিষ খাবার পাওয়া যাচ্ছে। বিজনেস ও ফার্স্ট ক্লাসে অবশ্য আগের মতোই আমিষ খাবার দেওয়া হচ্ছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বিনী লোহানি বলেছেন, ‘গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই সব দেশীয় উড়ানের ইকনমি ক্লাসে আমিষ খাবার দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে যেমন খরচ বাঁচবে তেমনই যিনি নিরামিষ খান তাঁকে আমিষ খাবার দেওয়ার মতো ভুলও এড়ানো যাবে। অতীতে বেশ কয়েকবার এই ধরনের ঘটনা দেখা গিয়েছে। সেই কারণেই আমিষ খাবার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।’

এয়ার ইন্ডিয়ার অপর এক আধিকারিক বলেছেন, প্রতি বছর যাত্রীদের খাবারের খাতে তাঁদের ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়। দেশীয় উড়ানের ইকনমি ক্লাসে আমিষ বন্ধ করার ফলে বছরে ৮ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তাছাড়া নিরামিষ খান এমন যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশীয় উড়ানে এতদিন ৩০ শতাংশ আমিষ এবং ৭০ শতাংশ নিরামিষ খাবার রাখা হত। কিন্তু প্রায়ই দেখা যাচ্ছিল নিরামিষ খাবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই ইকনমি ক্লাসে শুধুই নিরামিষ খাবার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্তে অবশ্য যাত্রীরা খুশি নন। জাতীয় বিমানযাত্রী সংগঠনের সচিব মহেশ রেড্ডি বলেছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। স্বল্প ভাড়ার বিমান সংস্থাগুলিও যাত্রীদের পছন্দের খাবার বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয়। যাত্রীদের মতামত নিয়ে তবেই এয়ার ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিত।