মনুকে শৃঙ্খলাপরায়ণতা, ভাল কাজ, ব্যবহারের জন্য খোলা কারাগারে বদলি করা হয়েছে বলে সম্প্রতি জানা যায়। এধরনের জেলে একেবারে যতটুকু নিরাপত্তার কড়াকড়ি দরকার, ততটুকুই থাকে। মনু সারাদিন সেখানে কাজ করেন, সন্ধ্যায় জেলে ফেরেন। মনু বেশ কয়েকবার প্যারোলে মুক্তি চেয়েছেন পড়াশোনা ও বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের জন্য। বেশ কয়েকটি মিডিয়া রিপোর্টের দাবি, মনু দ্রুত মুক্তি চেয়েছেন। তবে তাঁর রোষের বলি হওয়া জেসিকার বোন ক্ষমা করে দিলেও সেটা এক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়, তাঁকে রিভিউ বোর্ডের সামনে দাঁড়াতে হবে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে জেসিকাকে রেস্তোরাঁয় গুলি করে মেরে ফেলার ঘটনায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিনোদ শর্মার ছেলে মনুকে রেহাই দিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু ২০০৬ এর ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। সেই রায় ২০১০-এর এপ্রিল বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। জেসিকা দক্ষিণ দিল্লির মেহরাউলি এলাকায় টামারিন্ড কোর্ট রেস্তোরাঁয় বারে কাজ করতেন। মদ সার্ভ করতে না চাওয়ায় রাগের বশে তাঁকে গুলি করে হত্যা করেন মনু। জেসিকা হত্যায় দোষী মনু তিহার জেল থেকে ছাড়া পেলে আপত্তি নেই, জানালেন বোন সাবরিনা
Web Desk, ABP Ananda | 23 Apr 2018 07:41 PM (IST)
নয়াদিল্লি: দিদির হত্যাকারী জেল থেকে ছাড়া পাওয়ায় তাঁর কোনও আপত্তি নেই, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই জীবনের ধর্ম বলে তিনি মনে করেন। জানালেন মডেল জেসিকা লালের বোন সাবরিনা লাল। ১৯৯৯ সালে জেসিকা খুনে দোষী সাব্যস্ত সিদ্ধার্থ বাহিস্থা ওরফে মনু শর্মা তিহার জেলে যাবজ্জীবন কারাবাস খাটছেন। জেসিকা মামলায় ন্যয়বিচার পেতে দীর্ঘ আইনি যুদ্ধ চালিয়েছিলেন সাবরিনা। গত মাসে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে চিঠি দিয়ে ভিকটিম ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে সাবরিনা জানান, যাদের বেশি প্রয়োজন, তাদের দেওয়া হোক। সাবরিনা বলেন, আমি জবাব পাঠিয়েছি যে, মনু মুক্তি পেলে আমার কোনও আপত্তি নেই। ১৫ বছর ইতিমধ্যেই ও জেলে কাটিয়ে ফেলেছে। এটা ক্ষমা করে দেওয়ার ব্যাপার নয়, তবে একটা বোঝা, দায় নামিয়ে দেওয়ার বিষয়, যা পিছনে ফেলে আমি অনেক এগিয়ে গিয়েছি। আমার কাছে এটা নিজের ওপর থেকে একটা বোঝা ঝেড়ে ফেলার ব্যাপার। কারার অন্তরালে মনুর সেবামূলক কাজকর্মের উল্লেখ করেও সাবরিনা লিখেছেন, আমি শুনেছি, এই সময়ে ভাল ভাল সেবামূলক কাজ করেছে ও, সহবন্দিদের নানা বিষয়ে সাহায্য করেছে। এটা ওর সংশোধন, বদলে যাওয়ার পরিচয় বলে আমার মনে হয়।