নয়াদিল্লি: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) জালিয়াতি মামলায় জড়িতদের কেউই রেহাই পাবে না বলে কংগ্রেসের তোলা অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তদন্ত দ্রুত গতিতে এগচ্ছে বলেও জানান বিজেপির এই নেতা। নীরবকে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে সিইওদের সঙ্গে তোলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যে ছবিতে দেখা গিয়েছে, তাকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস শাসক দলের সঙ্গে অভিযুক্ত শিল্পপতির যোগসাজশের অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেসের দাবি, প্রধানমন্ত্রীও একান্তে বৈঠক করেছেন নীরবের সঙ্গে। তবে পাল্টা রবিশঙ্করের দাবি, দাভোসে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যাওয়া দলে নীরব ছিলেন না, তিনি নিজের উদ্যোগে আলাদা সেখানে গিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীও তাঁর সঙ্গে কোনও বৈঠক করেননি। তিনি বলেন, নীরব মোদী ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কোনও বৈঠকই হয়নি। উনি গ্রুপ ফটোগ্রাফে ছিলেন। ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের বৈঠকের ফাঁকে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর সেটি তোলা হয়।
বিনিয়োগ টানার কাজে যুক্ত ইনভেস্ট ইন্ডিয়া নামে একটি এজেন্সি ওই ফটো সেশনের আয়োজন করেছিল। নীরব মোদীও আরও অনেক শিল্পপতির মতোই ব্যক্তিগত উদ্যোগে দাভোসের ওই সম্মেলনে গিয়েছিলেন।


পাল্টা বিজেপির এই অন্যতম শীর্ষনেতা বলেন, কংগ্রেসের অনেক নেতার সঙ্গেও নীরবের বিজনেস পার্টনার মেহুল চোকসির ছবি আছে। চাইলে সেই ছবি তাঁরাও বের করে দিতে পারেন, কিন্তু তাঁরা অতটা নীচে নামতে পারবেন না।

সিবিআইয়ের কাছে পিএনবি প্রথম অভিযোগ জানানোর ৬ দিন আগে গত ২৩ জানুয়ারি দাভোসের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিইওদের ওই গ্রুপ ছবি তোলা হয়েছিল।

করদাতাদের অর্থ নয়ছয় হতে দেওয়া হবে না বলে জানান রবিশঙ্কর। বলেন, সরকারের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই যে, সাধারণ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে যে-ই ধ্বংস করে দিতে চাক না কেন, সে পদমর্যাদা, ক্ষমতা যা-ই হোক, রেহাই পাবে না।
কংগ্রেস নীরবকে 'ছোটা মোদী' বলে ডাকায়ও তীব্র আপত্তি তুলে রবিশঙ্কর বলেন, কেন ছোটা মোদী শব্দবন্ধ ব্যবহার করছে কংগ্রেস? দেশে অনেক লোকেরই মোদী পদবী আছে। সুতরাং এমন ভাষা ব্যবহার করা অপমানজনক।
গতকালই পিএনবি জানায়, নীরব মোদী মুম্বইয়ের এক শাখা থেকে জাল অনু্মোদন পত্র বের করে তা দেখিয়ে বিদেশে ভারতীয় ঋণদাতাদের কাছ থেকে লোন নিয়েছেন। ১১৪০০ কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছে।
কংগ্রেসের দাবি, স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি ঠেকাতে সরকার কিছুই করেনি।