বেঙ্গালুরু: দলিত ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীর নিশানায় কংগ্রেস। আজ কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রচারের শেষদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের হৃদয়ে দলিত, পিছিয়ে পড়া বর্গের জন্য কোনও জায়গা নেই। কংগ্রেস দলিতদের জন্য কিছু করেনি। কংগ্রেস বাবাসাহেব অম্বেডকরকে কখনও সম্মান করেনি বলেও দাবি করেন তিনি। বলেন, ১৯৫২ সালে অম্বেডকর লোকসভা ভোটে লড়েছিলেন, ১৯৫৩-য় বান্দারা লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁকে হারাতে কংগ্রেস 'সর্বশক্তি' প্রয়োগ করেছিল। সেজন্যই বাবাসাহেব হেরে যান, অপমানিত হন। কংগ্রেস একটা অন্তত প্রমাণ দিক যে, তারা বাবাসাহেবকে সম্মান করেছে।
নমো অ্যাপের মাধ্যমে বিজেপির তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি ও বস্তি মোর্চা কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। এও বলেন, দশকের পর দশক এটাই হয়েছে। কংগ্রেস যতদিন ক্ষমতায় ছিল, বাবাসাহেবকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, অম্বেডকর সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার যে ভারতের স্বপ্ন দেখতেন, বিজেপি একাধিক স্কিমের মাধ্যমে তা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে, সরকারও সামাজিক ন্যয়, সাম্য সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি দাবি করেন, 'স্ট্যান্ড আপ' ও 'মুদ্রা' যোজনা তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি ও মহিলাদের আর্থিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বড় ভূমিকা পালন করছে।
তফসিলি জাতি, উপজাতি, উপজাতিদের মধ্য থেকেই বিজেপি সবচেয়ে বেশি সাংসদ পেয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারই প্রথম তফসিলিদের জন্য পৃথক মন্ত্রক তৈরি করে। বাজপেয়ী জমানাতেই তফসিলি উপজাতিদের জন্য আলাদা কমিশন গঠিত হয়।
মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়ে জনসংখ্যার একটা বড় অংশ আদিবাসী এবং এইসব রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, পাশাপাশি অসম, অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, ত্রিপুরার মতো উত্তরপূর্বের রাজ্যে সরকার চালাচ্ছে, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়ে জোট সরকারেও রয়েছে বলে উল্লেখ করে মোদী বলেন, এতে বোঝা যায়, আদিবাসী, উপজাতিরা বিজেপিকে পুরোপুরি সমর্থন করছে।
কংগ্রেস ওবিসি কমিশনকে কখনও সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার কথা ভাবেইনি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কী সমস্যা ওদের, আজও বুঝি না। ওবিসি সম্প্রদায় যতবার দাবি করে, কংগ্রেস বাধা দেয়। এমনকী এ ব্যাপারে সরকারের উদ্যোগ ভেস্তে দিতে কংগ্রেস সংসদ চলতে দেয়নি বলেও অভিযোগ করেন মোদী। দাবি করেন, তাঁর সরকার তফসিলি জাতি, উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের ধারা আগের তুলনায় কঠিন করেছে, তার আওতায় অপরাধের সংখ্যাও ২২ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৭। বলেন, সরকার এটা করেছে কেননা আমি জানি গরিবকে কী সমস্যার মুখে পড়তে হয়, দলিত ও আদিবাসীদের কী যন্ত্রণা সইতে হয়, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়।
বিজেপি কর্মীদের তিনি পরামর্শ দেন, দলিত ও তফসিলি মহল্লায় গিয়ে প্রচার করতে, বোঝাতে যে দল তাদের জন্য কাজ করবে।