বরদোলি (গুজরাত): কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করবেই। বিশ্বের কোনও শক্তি এটা আটকাতে পারবে না। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ভারতের বিরুদ্ধে অসৎ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

সুরাতে বিজেপি-র গুজরাত গৌরব যাত্রায় যোগ দিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছেন রাজনাথ। পাকিস্তানকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। নামের শুরুতে পাক থাকলেও, তারা সবসময় নাপাক (অসৎ বা অধার্মিক) কার্যকলাপ চালিয়ে যায়। ভারতকে ভাঙার চেষ্টা করে, ভারতে সন্ত্রাসবাদীদের পাঠায়। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার ভিত্তিতে কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি প্রোটোকল ভেঙে পাকিস্তানেও গিয়েছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান নিজেদের কার্যকলাপ বদলাচ্ছে না। এটা বেশিদিন চলতে পারে না।’

কাশ্মীর সীমান্তে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীকে স্বাধীনতা দিয়েছি। আমি বলেছি, আপনারা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে যে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেন। আমাদের খতম হওয়া জঙ্গির সংখ্যা বলতে হবে না। কোনওদিন একদিনে একজন, দু’জন, চারজন বা ৬ জন জঙ্গিকে খতম করতে পারেন। আমাদের জওয়ানরা জঙ্গিদের জয় শ্রীরাম বলে অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন। এর আগে কোনওদিন এত জঙ্গিকে খতম করা হয়নি।’

সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল বদলের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘২০১৪ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার কয়েক মাস পরেই একদিন পাকিস্তানি জওয়ানদের গুলিতে পাঁচজন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাই। এরপর ফোনে বিএসএফ-এর তৎকালীন জিডি-র সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন, পাকিস্তানের গুলির জবাবে ভারতের দিক থেকে শান্তির বার্তা দিয়ে সাদা পতাকা দেখানোর পুরনো রীতি রয়েছে। আমরা ১৬ বার সাদা পতাকা দেখিয়েছি। আমি তখন বিএসএফ-এর ডিজি-কে প্রশ্ন করি, আমরা সাদা পতাকা দেখানোয় পাকিস্তান কী করেছে? তিনি জবাব দেন, পাকিস্তান সাদা পতাকা দেখায়নি। তখন আমি বলি, ১৭-তম বার সাদা পতাকা দেখাবেন না। আমার নির্দেশ দেওয়া থাকল, আমরা প্রথমে গুলি না চালালেও, আমাদের দিকে যদি একটাও গুলি আসে, তাহলে আমরা জবাব দেব।’

কাশ্মীর সমস্যার জন্য ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে দায়ী করে রাজনাথ বলেছেন, ‘সর্দার বল্লভভাই পটেলের উদ্যোগেই জুনাগড় ও হায়দরাবাদকে ভারতের অংশ হয়। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু যদি তাঁকে কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা থেকে বিরত না করতেন, তাহলে আজ কাশ্মীর সমস্যাই থাকত না।’