নয়াদিল্লি: ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে ভারতীয় সেনাবাহিনী সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা নেই। তথ্যের অধিকার আইনে এক প্রশ্নের জবাবে এমনই জানালেন ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও)।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে তথ্যের অধিকার আইনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল কি না, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল কি না এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের অর্থ কী? এই প্রশ্নগুলির জবাব চাওয়া হয়েছিল। সেনাবাহিনীর কাছে এই প্রশ্নগুলি পাঠিয়ে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এরপর ডিজিএমও-র কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়। সেই জবাবে ডিজিএমও বলেছেন, ‘অতীতে কোনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই।’ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের অর্থ কী? এই প্রশ্নের জবাবে ডিজিএমও জানিয়েছেন, ‘সাধারণভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের অর্থ নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বৈধ সামরিক আক্রমণ। নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আক্রমণ চালিয়ে দ্রুত শিবিরে ফিরে আসেন সেনাকর্মীরা। ন্যূনতম বা কোনও ক্ষতিই যাতে না হয়, সেই লক্ষ্যেই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়।’

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে এলওসি-র ৭০০ মিটার ভিতরে ঢুকে পাক সেনার চারটি জঙ্গি লঞ্চ প্যাড ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় সেনা। এই অভিযানো লস্কর-ই-তৈবার ২০ জন জঙ্গিকে খতম করা হয়। এ বিষয়ে ডিজিএমও জানিয়েছেন, জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের জন্য তৈরি ছিল। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এই খবর পেয়েই তাদের ছক বানচাল করে দেওয়ার জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়।