বেঙ্গালুরু: বাড়িতে শৌচাগার নির্মাণের দাবিতে ২ দিন টানা অনশনে কিশোরী। তার জেদের কাছে নতিস্বীকার করল প্রশাসন। বাড়িতে নতুন শৌচাগার তৈরি হওয়ার পর অনশন ভাঙল মেয়েটি।
খবরে প্রকাশ, কর্নাটকের বেল্লারি জেলায় সিরুগাপ্পা মহকুমার অন্তর্গত তালুর গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী স্থানীয় সরকারি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ২০১৫-১৬ সালে তার বাড়িতে একটি শৌচাগার বরাদ্দ করা হয়েছিল। যদিও, তা বাস্তবায়িত হয়নি।
সম্প্রতি, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে গ্রাম পঞ্চায়েত আয়োজিত একটি সচেতনতামূলক শিবিরে গিয়েছিল মহাকালী নামে ওই কিশোরী। সেখানে, সে বাড়িতে শৌচাগার থাকার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়।
জানা গিয়েছে, এরপরই বাড়ি ফিরে অবিলম্বে শৌচাগার নির্মাণের দাবি বাবার সামনে রাখে সে। জানিয়ে দেয়, যতক্ষণ না শৌচাগার নির্মাণ হচ্ছে, ততক্ষণ সে খাবার ও জল গ্রহণ করবে না।
মহাকালীকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে পরিবারের লোকজন। মেয়েকে তাঁরা জানান, এভাবে পরীক্ষার আগে খাওয়া বন্ধ করলে তার শরীর খারাপ হবে। কিন্তু, নিজের জেদে নাছোড় মহাকালী। টানা দুদিন ধরে সে অনশন করে চলে।
অনশেনের কথা গ্রাম পঞ্চায়েতের দফতরে পৌঁছলে স্থানীয় সদস্যরা কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে। কিন্তু, মহাকালী তাঁদেরও জানিয়ে দেয়, শৌচাগার নির্মাণ না হলে অনশন সে ভাঙবে না। রণে ভঙ্গ দেন পঞ্চায়েত সদস্যরা।
কিশোরীর দাবি অবেশেষে মেনে নিয়ে দ্রুত শৌচাগার নির্মাণ শুরু হয় মহাকালীর বাড়িতে। কয়েকদিনেরম মধ্যেই তার বাড়িতে নতুন শৌচাগার বসে যায়। এরপরই, অনশন ভাঙেন কিশোরী। সে জানায়, ওই শিবিরে গিয়ে সে অনুপ্রাণিত হয়েছিল।
কিশোরীর বাবা বলেন, যখন আমার মেয়ে খাবার ও জল গ্রহণ করেত অস্বীকার করল, তখন ভীষণ লজ্জা হল। ওকে বোঝানোর চেষ্টা করি। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা এসে তার সঙ্গে কথা বলে শৌচাগার নির্মাণ করে দেন। এখন গ্রামবাসী তাঁর দৃঢ়প্রত্যয়ের কথা বলছে। গ্রামের ‘আইকন’ হয়ে উঠেছে মহাকালী।