জম্মু: কাশ্মীর ইস্যুর অন্যতম প্রধান পক্ষ কাশ্মীরী পন্ডিতরা। অতীতে ভারতের সমস্যা মিটিয়েছেন তাঁরা, কাশ্মীর সমস্যা বলে কিছু থাকলে তার সমাধানও করবেন কাশ্মীরী পন্ডিতরাই। বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। সিমলা চুক্তির উল্লেখ করে ‘ইন্দিরা গাঁধী, পি এন কউল, পি এন হাকসার ও ডি পি ধর একই শিকড় বহন করেছেন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল এখানে এক মেধা সন্ধান প্রতিযোগিতায় বাছাই হওয়া সেরাদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র কাশ্মীরের ভবিষ্যত্ সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনা প্রক্রিয়া থেকে কেন কাশ্মীরী পন্ডিত সম্প্রদায়কে ‘দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে’, সেই প্রশ্ন তোলেন। বলেন, এটা রাজ্য বা দেশ, কারও পক্ষেই শুভ নয়। আমাদের এর মোকাবিলা করতে হবে দৃঢ়তার সঙ্গে। কাশ্মীরের ভবিষ্যত্ সংক্রান্ত যে কোনও রোড ম্যাপে কাশ্মীরী পন্ডিতরা হবেন একটি আবশ্যিক পক্ষ, এটা সুনিশ্চিত করব আমরা। কাশ্মীরী পন্ডিতদের ভবিষ্যতের প্রশ্নটি বিবেচনায় না রাখা হলে কাশ্মীরের ভবিষ্যত্ সংক্রান্ত কোনও রোডম্যাপ, রূপরেখাই বাস্তবসম্মত হবে না।
কাশ্মীর উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার পর কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে শিক্ষিত পন্ডিত সম্প্রদায়কে বাধ্য করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার মানের অধঃপতন ঘটে। আর এখন তো স্কুল জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পন্ডিতরা ভিটেছাড়া হওয়ার পর কাশ্মীরের ১৯৯০-এর পরবর্তী প্রজন্ম ‘ভারত, দেশের সরকার, সমাজ-সকলের কাছেই চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। কারণ ভারত কী, তা ওরা জানে না।’ একটা শিক্ষিত, বৌদ্ধিক সম্প্রদায় হিসাবে এটা সত্যিই চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এটা নিয়েও চলছে রাজনীতি। এর কড়া মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।
এ প্রসঙ্গে শিল্পী-সাহিত্যিকদের দেশে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরি হওয়ার কারণ দেখিয়ে দলে দলে পদক ফেরানোরও নিন্দা করেন তিনি। জিতেন্দ্র বলেন, খেতাব ফেরানোর চল শুরু করেছিলেন এক মহিলা কাশ্মীরী সাহিত্যিক। তাঁর নিজের সম্প্রদায়কে যখন উপত্যকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল, তখন কিন্তু তিনি পদক ফেরাননি। অথচ ওঁদেরই মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল সবচেয়ে বেশি!
কাশ্মীরী পন্ডিতদের বাদ দিয়ে কাশ্মীরের কোনও রোডম্যাপ নয়, বললেন জিতেন্দ্র সিংহ
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
01 Nov 2016 04:47 PM (IST)
দেশ (nation) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -