নয়াদিল্লি: নয়ডার সেক্টর ৬৩-তে মোবাইল ফোন কোম্পানি অপো-র কার্যালয়ে ভারতের পতাকা ছিঁড়ে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তীব্র শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় অভিযোগের তির এক চিনা নাগরিকের বিরুদ্ধে, যিনি ওই মোবাইল কোম্পানির প্রোডাকশন ম্যানেজার। তিন কর্মীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।


ওই চিনা নাগরিকের গ্রেফতারির দাবিতে আজ কয়েকশ অপো কর্মী ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কর্মী মোবাইল সংস্থার বাইরে বিক্ষোভ দেখান। অপো কোম্পানি শ্রম বিষয়ক নিয়মনীতি-আইন মানছে না বলেও অভিযোগ তুলে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন তাঁরা। বিক্ষোভ চরমে উঠলে পরিস্থিতি সামলাতে ২০০-র বেশি পুলিশকর্মীকে সেখানে পাঠানো হয়। বিক্ষোভের খবর ছড়াতেই আশপাশের কলোনির লোকজন বাড়ির ছাদে উঠে তেরঙা পতাকা উড়িয়ে বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানান।
পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবশ্য জনতা সরে যায়। বিক্ষোভকারীরা দাবি করে, অফিসের প্রতিটি কোণে ক্যামেরার নজরদারি রয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখুক ফুটেজ। আমাদের জাতীয় পতাকার প্রতি কোনও অসম্মান সইব না।
মোবাইল কোম্পানিটি এদিন সকালে দপ্তর বন্ধ করে দিয়ে বুধবার বিকালে আবার কাজ শুরু করতে বলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওখানে মোবাইলের যন্ত্রাংশ জোড়া দেওয়ার কাজ হয়। প্রায় ৪ হাজার লোক ওখানে কাজ করে। সকাল ৮ থেকে সন্ধ্যা সাতটা ও রাত আটটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত সেখানে দুটি শিফটে কাজ চলে। স্থানীয় থানার হাউস অফিসার জানিয়েছেন, দেওয়ালে লাগানো ভারতের জাতীয় পতাকা খুলে ওই চিনা নাগরিক ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিক্ষোভকারী কর্মীদের দাবি, তাঁরা ঊর্ধ্বতন অফিসারদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই অফিসাররা ভারতীয়। তবে তারপরও কিছুই করেননি তাঁরা। তাই ক্ষোভেই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
কিছুদিন আগেই ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি আঁকা ডোর ম্যাট অনলাইনে ওয়েবসাইটে বিক্রি করায় তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয় অ্যামাজন ইন্ডিয়াকে। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ অ্যামাজনকে নিঃশর্তে ক্ষমা চেয়ে তেরঙা পতাকার প্রতি অবমাননাকর যাবতীয় পণ্য তুলে নিতে বলে জানিয়ে দেন, নির্দেশ না মানলে কোনও অ্যামাজন কর্তা ভারতের ভিসা পাবেন না।