নয়াদিল্লি: প্রবল শীতে কাবু গোটা উত্তর ভারত। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘন কুয়াশা, যার জেরে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
কুয়াশায় বিপর্যস্ত দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারত। রাজধানীতে আজও রেল ও বিমান চলাচল ব্যাহত। দিল্লি থেকে এদিন মোট ২২টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দেরিতে চলছে ৬১টি ট্রেন। ৭টি ট্রেনের সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রভাব পড়েছে বিমান চলাচলেও। ৩টি অন্তর্দেশীয় উড়ান বাতিল। ৬টি উড়ানের সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে চলছে ৩টি আন্তর্জাতিক উড়ানও। দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
উত্তর ভারত জুড়ে ঘন কুয়াশার দাপট। তার প্রভাব পড়েছে এরাজ্যেও। উত্তর ভারত থেকে আসা একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেকটা দেরিতে চলছে। বাতিল হয়েছে ডাউন কালকা মেল। দিল্লি থেকে আসা দুরন্ত এক্সপ্রেস ১৬ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। তাছাড়া অন্য ট্রেনও বেশ কিছুটা দেরিতে চলছে। কয়েকটি ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
- হাওড়া- দিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস ১৬ ঘণ্টা দেরিতে চলছে
- হাওড়া- বিভূতি এক্সপ্রেস ১১ ঘণ্টা দেরিতে চলছে
- হাওড়া- চম্বল এক্সপ্রেস ৮ ঘণ্টা দেরিতে চলছে
- হাওড়া- দুন এক্সপ্রেস ৬ ঘণ্টা দেরিতে চলছে
- হাওড়া- অমৃতসর মেল ১১ ঘণ্টা দেরিতে চলছে
ঘন কুয়াশার জেরে পঞ্জাব ও হরিয়ানায় তিনটি পৃথক দুর্ঘটনায় তিন কলেজ ছাত্র সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। চণ্ডীগড়, লুধিয়ানা, অমৃতসর, পাটিয়ালা, করনাল, পানিপত, গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদে জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডেও ঘন কুয়াশা। সকালে বারাণসীতে রাস্তার আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়েছে। তাতেও দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের নিচে। কনকনে ঠাণ্ডায় রাস্তার ধারে আগুন জ্বেলে উষ্ণতা খুঁজছেন বহু মানুষ। সমস্যায় পড়েছে কচিকাঁচারা। সকালে স্কুলের সময় পিছনোর আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
কুয়াশার দাপটে রাস্তায় লোকজনের দেখা নেই।ফলে যাত্রী পাচ্ছেন না বাসচালকরা। একই অবস্থা উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানির। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় জবুথবু স্থানীয় বাসিন্দারা। সকালবেলায় রাস্তার আলো জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কখনও কখনও সূর্যের দেখা মিলছে দুপুরের পর।
এদিকে, কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চল হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছে। লাদাখের লেহ তে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শূন্যের থেকে ১০.৯ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে। কার্গিলের তাপমাত্রা (-১০.২), শ্রীনগর (-২.৭) ডিগ্রিতে কাঁপছে।
আবার রাজস্থানের মাউন্ট আবু অঞ্চলের তাপমাত্রা এখন ৬ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। হিমাচল প্রদেশের শিমলাও শৈত্যপ্রবাহে প্রকোপে জেরবার। পার্বত্য অঞ্চলগুলির একাধিক জায়গার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গিয়েছে।
লাহুল-স্পিটির কেলং এবং কিন্নরের কল্পায় তাপমাত্রা যথাক্রমে (-৫.৬) এবং (-১.০)। এছাড়া মানালি (-০.৮), সোলান (-৩.০) ডিগ্রিতে কাঁপছে। শিমলার তাপমাত্রা ৪.১।