নয়াদিল্লি: দেশে জাতীয় স্তরে কোভিড-১৯ এর গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে, বলার মতো বেশি তথ্য প্রমাণ নেই বলে জানালেন এইমস ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া। তবে তিনি বলেছেন, অনেক শহরে হটস্পট আছে যেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেস বেড়েছে, এবং সেইসব এলাকায় স্থানীয় স্তরে গোষ্ঠী সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব বেশি। কিছু এলাকা ইতিমধ্যে সংক্রমণের চরমে, শীর্ষে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেলেও কিছু এলাকার এখনও সেই স্তরে যাওয়া বাকি বলে অভিমত জানান তিনি। বলেন, কয়েকটি এলাকা পিকে অর্থাত সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। দিল্লিতে এটা হয়েছে মনে হয় কেননা সেখানে কেসের সংখ্যা উল্লেখ করার মতো কমেছে। আবার কিছু এলাকায় সংক্রমণ তুঙ্গে ওঠা এখনও বাকি। কয়েকটি এলাকায় কেস বাড়ছে। অল্প কিছুদিন বাদেই সেখান সংক্রমণ চরমে উঠবে।


এ মাসেই এর আগে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ভারত কোভিড-১৯ এর গোষ্ঠী সংক্রমণের স্তরে যায়নি,যদিও কিছু ভৌগলিক এলাকায় স্থানীয় স্তরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানায়। মন্ত্রকের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি রাজেশ ভূষণ বলেছিলেন,আজও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকের পর স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভারত গোষ্ঠী সংক্রমণের পর্যায়ে পৌঁছয়নি। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৮০ শতাংশই হয়েছে শুধু ৪৯টি জেলায়। যে দেশে ৭৩৩টার বেশি জেলা,সেখানে ৪৯টা জেলায় ৮০ শতাংশ সংক্রমণ হলে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলা যুক্তিসঙ্গত নয়। তিনি এও বলেন, অ্য়াক্টিভ কেস হলেই যদি নির্দিষ্ট প্রটোকল মানা হয়, তবে এই কেসগুলির ঘনিষ্ঠ লোকজনের সন্ধান করে খুঁজে বের করা সম্ভব তিনদিনে। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে যেখানে সংক্রামিতদের সংস্পর্শে আসা লোকজনকে খুঁজে বের করা যায়, সেখানে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা ন্য়য়সঙ্গত নয়। হু-ও স্থানীয় স্তরে ভাইরাস ছড়ানো ও গোষ্ঠী সংক্রমণের নির্দিষ্ট সংজ্ঞা দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন ভূষণ।