চণ্ডীগড়:  বর্ণিকা কুণ্ডু, পেশায় ডিজে, গত ৪৮ ঘণ্টায়, তিনি তাঁর এক ফেসবুক পোস্টের জন্যে সংবাদ শিরোনামে। বর্ণিকাকে রাত বারোটার সময় চণ্ডীগড়ের রাস্তায় এসইউভি চেপে পিছু ধাওয়া করার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে হরিয়ানা বিজেপি সভাপতির ছেলে বিকাশ বারালার। এই ঘটনার জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্ণিকাকেই প্রকাশ্যে তোপ দেগেছেন হরিয়ানা বিজেপির সহ সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, অত রাতে তিনি বেরিয়ে ছিলেন কেন?


মেয়েটি অত রাতে একা কেন বেরিয়েছিল? হরিয়ানা বিজেপি সহ সভাপতির মন্তব্যে বিতর্ক

এরপরই রামবীর ভাট্টিকে একহাত নিয়েছেন বর্ণিকা। এক সাক্ষাত্কারে ওই তরুণী বিজেপি নেতাকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, আমি রাত অবধি বাইরে থাকি, তাতে আপনাদের কী? রামবীর বলেছিলেন, এটা বর্ণিকার মা-বাবারই দায়িত্ব ছিল দেখা, যাতে তাঁদের মেয়ে গভীর রাতে বাইরে না যায়। মেয়ের বাবা-মার আরও অনেক বেশি সচেতন, দায়িত্বশীল হওয়া উচিত্, মন্তব্য করেন রামবীর। এই কথা প্রসঙ্গে বর্ণিকার জবাব, আমি বাইরে কখন যাব, কেন যাব, সেটা আমার আর আমার বাবা-মায়ের ব্যাপারে। পুরুষরা যদি নিজেদের মানসিকতার পরিবর্তন না করে, তাহলে মহিলারা কোনওদিনই নিরাপদে রাস্তায় বেরোতে পারবেন না। একজন ছেলে যদি সঠিক শিক্ষায় বেড়ে উঠতেন, তাহলে মহিলারা, রাত বারোটা কেন, রাত দুটো, ভোর চারটে, যেকোনও সময়ই রাস্তায় বেরোতে পারত।

বর্ণিকা এরপরই বলেন, আমি রাতে বেরিয়েছি, সেটা আমার দোষ। কিন্তু রাতে কেন ছেলেরা নিজেদের চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।

নিজের ফেসবুক পোস্টেই বর্ণিকা তাঁর সঙ্গে চণ্ডীগড়ের রাস্তায় কী হয়েছে সেই বর্ণনা দিয়েছেন।



এরপর থেকেই তোলপাড় সারা দেশ। হরিয়ানা বিজেপি সভাপতির ইস্তফার দাবি প্রতিদিনই জোরালো হচ্ছে, কারণ তাঁর ছেলে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর পুলিশ দুই অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার করলেও, ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই জামিন পেয়ে তাঁরা বাইরে চলে আসেন। অথচ দুই তরুণের বিরুদ্ধে  মহিলাকে পিছু ধাওয়া করার ধারা দেওয়া হয়েছে, অপহরণের নয়, এবং সেটা জামিন-অযোগ্য।