নয়াদিল্লি: মোদী সরকার যতই দাবি করুক না কেন, ডিমোনেটাইজেশন বা নোট বাতিলের ফলে জোর ধাক্কা খেল ভারতের অর্থনীতি।
সেন্ট্রাল স্ট্যাটিসটিক্স অফিস (সিএসও) দ্বারা সদ্য প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি-র বৃদ্ধি ৬.১ শতাংশে নেমে গিয়েছে।
যার জেরে সমগ্র ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমেছে ৭.১ শতাংশে, গত তিন বছরে যা সর্বনিম্ন। জানা গিয়েছে, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ৭.৫ ও ৮ শতাংশ।
যে সময় মোদী সরকার কেন্দ্রে তিন বছর পূর্ণ হওয়া উদযাপন করছে, ঠিক সেই সময়ে রিপোর্ট বলছে, কৃষিক্ষত্রে প্রভূত উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও দেশের উৎপাদন ও পরিষেবা ক্ষেত্রগুলির পারফরম্যান্স সবচেয়ে খারাপ। যার ফলস্বরূপ, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ধাক্কা খেয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে উৎপাদন শিল্পের বৃদ্ধির হার আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ১২.৭ শতাংশ থেকে নেমে দাঁড়ায় ৫.৩ শতাংশ। শুধু আশার আলো দেখিয়েছে কৃষিক্ষেত্র। আগের অর্থবর্ষের তুলনায় গত অর্থবর্ষে কৃষিক্ষেত্রের বৃদ্ধির হার ছিল ০.৭ শতাংশ ও ৪.৯ শতাংশ।
পরিসংখ্যানবিদদের মতে, এই আর্থিক ধাক্কার নেপথ্যে রয়েছে মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত। কারণ, গত বছরের নভেম্বর মাসে পুরনো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপরের তিন মাসের এই হিসেবই বলে দিচ্ছে, সরকারের সিদ্ধান্তের কী প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে।
বর্তমান পরিসংখ্যানের নিরিখে বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা অর্থনীতি হল চিন। জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে চিনের জিডিপি-র হার হল ৬.৯। সেখানে ভারতের ৬.১। ফলে, এককথায় বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি হওয়া অর্থনীতির তকমা খুইয়ে ফেলল ভারত।