বিহারে লালুর ২ পুত্রের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’, ভাইয়ের উত্থানে খুশি নন দাদা?
ABP Ananda, Web Desk | 10 Jun 2018 04:09 PM (IST)
পটনা: বাবা জেলে, পার্টির দায়িত্ব তাঁদের ওপর। এমতাবস্থায় বিহারে কুরুক্ষেত্র বাধিয়ে ফেলেছেন লালুপ্রসাদ যাদবের দুই ছেলে তেজপ্রতাপ ও তেজস্বী। আরজেডিতে ছোট ভাই তেজস্বীর প্রতাপ নাকি বেশি, বড় তেজপ্রতাপের সেটা মোটেই পছন্দ হচ্ছে না। মুখে অবশ্য সাংসারিক অশান্তির কথা স্বীকার করছেন না তেজপ্রতাপ। বরং বলছেন, ছোট ভাই তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ, তাঁর ওপর কোনও রাগ নেই। রাগ নেই বাবার ওপরেও। তাঁর যত ক্ষোভের কারণ দলের প্রদেশ সভাপতি আর সি পূর্ভে, তিনি নাকি যুব কর্মীদের অবহেলা করছেন। তেজপ্রতাপের দাবি, জনাকয়েক দলীয় কর্মী নাকি তাঁদের দুই ভাইয়ের মধ্যে অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছেন। তিনি ফোন করলেও তাঁরা ধরছেন না। তেজপ্রতাপ বলেছেন, এঁদের দল থেকে উচ্ছেদ করে ছাড়বেন তিনি, দলের অভিজ্ঞ নেতাদেরও অনুরোধ করেছেন, এই সব কর্মীদের চিহ্নিত করে দল থেকে তাড়িয়ে দিতে। বিহার রাজনীতির ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য বলছে, বিষয়টা তা নয়। দিনকয়েক আগে তেজপ্রতাপ টুইট করে ইঙ্গিত দেন, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন তিনি। মহাভারতের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাবছেন, অর্জুনকে হস্তিনাপুরের সিংহাসনে বসিয়ে নিজে দ্বারকা চলে যাবেন। কিন্তু কিছু বদমায়েস আছে, যারা মনে করে, তা করলে তিনি কিং মেকার হয়ে যাবেন। সহজেই বোঝা যাচ্ছে, এখানে অর্জুন বলতে ভাই তেজস্বীকে বোঝাচ্ছেন তেজপ্রতাপ। কিন্তু এই ২৯ বছর বয়সেই অবসরের চিন্তা কেন? আসলে লালু পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জেলে যাওয়ার পর থেকেই তেজস্বী দলের প্রধান মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন। দলের কাজকর্ম একার হাতে তিনিই সামলান। কংগ্রেস ও জেডিইউকে সঙ্গে নিয়ে আরজেডির মহাজোটবন্ধন গঠনে বড় ভূমিকা নেন তিনি। দাদা তেজপ্রতাপ মহাজোটবন্ধনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী থাকলেও তেজস্বী তাঁর থেকে রাজনীতিতে বেশি সক্রিয়। সেই কারণেই কি তেজপ্রতাপের এই গোঁসা? রাজনৈতিক মহল তাই মনে করছে।