গত ২২ ফেব্রুয়ারিই পদ্মর আকৃতির একটি সোনার নেকলেস দান করেন। যার ওজন ছিল প্রায় ১৪.৯০ কিলোগ্রাম। এছাড়া ৪.৬৫ কেজি ওজনের একটি ক্যারকানেটও দান করেন। প্রসঙ্গত ওই দিনই তিরুপতির মন্দিরে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মূল্যের সোনার গয়না দান করেন চন্দ্রশেখর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী কংগ্রেস ও বিজেপির কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এভাবে জনসাধারণের টাকা ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগে বিরোধী শিবির।
তবে এত সমালোচনার যে কোনও প্রভাবই মুখ্যমন্ত্রীর ওপর পড়েনি, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল সোনার গোঁফ দান করা থেকে। তবে এখানেই শেষ হচ্ছে না রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের দানের তালিকা। এরপর তিনি ওয়ারাঙ্গলে ভদ্রকালীর মন্দিরে সোনার মুকুট দান করবেন, বিজয়ওয়াদাতে কনক দুর্গার মন্দিরে নাকের নাকছাপি এবং ত্রিশূরে পদ্মাবতীর মন্দিরে দানের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, এই দানের সমস্ত অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে এসেছে। এখানে জনসাধারণের টাকা ব্যবহার করা হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, এই অর্থ সেই তহবিল থেকে নেওয়া হয়েছে, যেটা রাজ্যের বিভিন্ন মন্দির সংস্কারের জন্যে তৈরি হয়েছে।