ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে সেই যন্ত্র তৈরি হচ্ছে। ওই যন্ত্রে মাংসের প্রোটিনের নমুনা পরীক্ষা করে আধ ঘন্টায় ফল পাওয়া যাবে। ফলে গোমাংসপাচারকারী সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার বা মাংস বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজন হবে না।
মুম্বইয়ের কালিনায় ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ডেপুটি ডিরেক্টর কে ওয়াই কুলকার্নি বলেছেন, রিপোর্টে যদি পরীক্ষা করে দেখা নমুনা গোমাংস বলে প্রমাণিত হয়, তবে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তা ডিএনএ পদ্ধতিতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বহনযোগ্য যন্ত্রগুলির একেকটির দাম প্রায় ৮ হাজার টাকা। মোট ৪৫টি যন্ত্র সম্ভবত আগামী আগস্টে পুলিশকে দেওয়া হবে। প্রতিটি যন্ত্রে ১০০টি মাংসের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।
সাধারণত ডিএনএ পরীক্ষার খরচ প্রতি নমুনায় প্রায় ৭৫০ টাকা। নতুন যন্ত্র এসে গেলে অর্থ, সময়, পরিশ্রম সবই কমবে বলে দাবি পুলিশের।
যদিও গোমাংস পরীক্ষায় পুলিশের হাতে যন্ত্র তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরের ট্যুইট, ভুল বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়ার ভয়ানক দৃষ্টান্ত। গোমাংস শনাক্ত করতে যন্ত্র! আমাদের সরকারি পয়সা খরচের এর চেয়ে বেশি দরকারি কিছু নেই!আপাতত যন্ত্র দেওয়া হবে মুম্বই, পুনে ও নাগপুর পুলিশকে। পরে পাবে নাসিক, ঔরঙ্গাবাদ পুলিশ।
২ বছরের বেশি হল মহারাষ্ট্রে গরু, ষাঁড়, মহিষের মতো গবাদি পশু হত্যা পুরোপুরি নিষিদ্ধ।